রাকসু নির্বাচনে মনোনয়ন বিতরণের সময় বাড়ল
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাবি: রাকসু নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বিতরণের সময় বাড়ানো হয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ফরম বিতরণের শেষ সময় ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
আজ মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে রাকসুর কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম এ সিদ্ধান্ত জানান। তিনি বলেন, বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের দাবির প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ভোটকেন্দ্র আবাসিক হল থেকে একাডেমিক ভবনে স্থানান্তর, ভোটার তালিকায় ছবি সংযুক্তি এবং সাইবার বুলিং রোধে একটি কমিটি গঠন করা হবে।
তিনি জানান, প্রধান নির্বাচন কমিশনার পরিবর্তন, ভোটকেন্দ্র সরানো ও ডোপ টেস্টের কারণে অন্তত ৪-৫ দিন সময় লাগবে। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে মনোনয়ন বিতরণের সময় বাড়ানো হয়েছে। তফসিলের পরবর্তী ধাপগুলোতে পরিবর্তন আসতে পারে। এ বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত আছে এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আরও সময় প্রয়োজন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানিয়েছে, ছাত্রসংগঠনগুলোর দাবির পাশাপাশি ছাত্রদলের দুই মাস সময় চাওয়ার অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে দুপুর ২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের জরুরি বৈঠক হয়। এর আগে দুই দফা অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছিল।
তফসিল অনুযায়ী আজ বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়ন বিতরণের শেষ সময় ছিল। এর মধ্যে রাকসু ও সিনেট পদে ১৪১ জন ফরম সংগ্রহ করেছেন। রাকসুর জন্য ১২৮ জন এবং সিনেট প্রতিনিধি নির্বাচনে ১৩ জন মনোনয়ন নিয়েছেন। গত তিন দিনে মোট ১৪৭ জন ফরম সংগ্রহ করেছেন।
দুপুরে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট ও কিছু সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ২৩টি রাকসু ও ৫টি সিনেট পদে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে। ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের ঘোষিত প্যানেল ‘সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ’ ১০টি ফরম নিয়েছে। তবে ছাত্রদল, ইসলামী ছাত্রশিবির, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্র অধিকার পরিষদ মনোনয়ন নেয়নি।
মনোনয়ন বিতরণের সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্তে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা এবং কিছু শিক্ষার্থী। তারা ১৫ সেপ্টেম্বরের নির্ধারিত তারিখে ভোট আয়োজনের দাবি জানিয়ে কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করে। তারা স্লোগান দেয়—‘এক দফা এক দাবি, ১৫ তারিখে রাকসু দিবি’, ‘অবৈধ সিন্ডিকেট মানি না মানব না’।
শিবিরের সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদ ফয়সাল বলেন, নির্বাচন কমিশন সাজানো নাটক করছে। ১৫ সেপ্টেম্বর ভোট নিয়ে তারা শঙ্কা তৈরি করেছে। শিক্ষার্থীরা এ অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত মেনে নেবে না।