টেক্সাসে কুরআন অবমাননা: মুসলিমদের প্রতিবাদের আহ্বান

কংগ্রেস প্রার্থী ভ্যালেন্টিনা গোমেজের বিতর্কিত মন্তব্যের পর মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্ষোভ!

বিশ্ব ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে কংগ্রেস প্রার্থী ভ্যালেন্টিনা গোমেজ সম্প্রতি এমন একটি বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন, যা মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।

তিনি দাবি করেছেন যে, সকল মুসলিমকে আমেরিকা থেকে তাদের নিজ দেশে বহিষ্কার করা উচিত এবং টেক্সাসে ইসলামকে সমাপ্ত করতে হবে। তার এই বক্তব্যের পর তিনি কুরআন পোড়ানোর একটি প্রচারণা শুরু করেছেন।

গোমেজের এই মন্তব্যের পর মুসলিম সম্প্রদায়, মানবাধিকার সংগঠন এবং বিভিন্ন ধর্মীয় নেতা তার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা দাবি করেছেন, এই ধরনের বক্তব্য ধর্মীয় সহিষ্ণুতা ও মানবাধিকারের মৌলিক নীতির পরিপন্থী।

যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম সম্প্রদায়ের নেতারা বলেছেন, “আমরা ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সহিষ্ণুতার দেশ আমেরিকায় বসবাস করি। এই ধরনের উস্কানিমূলক বক্তব্য আমাদের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সম্মানকে হুমকির মুখে ফেলছে।”

এছাড়া, বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন গোমেজের বক্তব্যকে “বিদ্বেষমূলক ও উস্কানিমূলক” হিসেবে আখ্যায়িত করেছে এবং তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

এই ঘটনার পর, মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে একতা ও প্রতিবাদের আহ্বান জানানো হয়েছে। তারা দাবি করেছেন, “আমরা আমাদের ধর্ম ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রত্যাশা করি। এই ধরনের উস্কানিমূলক বক্তব্যের বিরুদ্ধে আমাদের একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ জানানো উচিত।”

এদিকে, গোমেজের এই মন্তব্যের পর, টেক্সাসের মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

ভ্যালেন্টিনা গোমেজ, একজন রিপাবলিকান কংগ্রেস প্রার্থী, টেক্সাস স্টেট ক্যাপিটলে অনুষ্ঠিত একটি মুসলিম সম্প্রদায়ের ইভেন্টে অংশগ্রহণ করে ইসলামবিরোধী উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান করেছেন। তিনি মঞ্চে উঠে মাইক্রোফোন ছিনিয়ে নিয়ে ইসলাম সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করেন, যা উপস্থিত মুসলিমদের ক্ষোভের সৃষ্টি করে।

এছাড়া, তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেন, যাতে তিনি কুরআন পুড়িয়ে ইসলামবিরোধী বক্তব্য দেন। এই ভিডিওটি ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। এটি তার পূর্ববর্তী বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের সাথে মিল রেখে, যা তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে বারবার বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।

এই ঘটনায়, ধর্মীয় সহিষ্ণুতা ও মানবাধিকারের গুরুত্ব আরও একবার প্রমাণিত হয়েছে। সকল ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা ও সহিষ্ণুতা বজায় রেখে, সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানানো হয়েছে।

সূত্র: Sadia Khalid (@SadiasOfficial) via Grok. ও Al Jazeera