কিছু রাজনৈতিক নেতার বক্তব্য জনগণকে বিভ্রান্ত করছে: তারেক রহমান
টুইট ডেস্ক: আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গনে তৈরি হওয়া নানা বিতর্ক ও মন্তব্য জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারিতে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা, সেটি হবে দীর্ঘ দেড় দশকের বেশি সময় পর জনগণের জন্য নির্ভয়ে ও নিরাপদে ভোট দিয়ে নিজেদের পছন্দের প্রার্থী নির্বাচিত করার সুযোগ। তবে নির্বাচনের সময়সূচি ঘিরে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার বক্তব্য ও মন্তব্য গণতন্ত্রকামী মানুষের মনে প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বিএনপির সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তারেক রহমান। যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যোগ দিয়ে তিনি আরো বলেন, গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর মধ্যে যদি দূরত্ব তৈরি হয়, তবে ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচারী চক্ররা পুনর্বাসনের সুযোগ পেয়ে যাবে। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
তারেক রহমান মনে করেন, লিখিত বিধি-বিধান দিয়ে ফ্যাসিবাদ ঠেকানো সম্ভব নয়। জনগণকে রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী করার মাধ্যমেই ফ্যাসিবাদ প্রতিহত করা যায়। তিনি বলেন, সরাসরি ভোট দিয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের অধিকার চর্চার মাধ্যমে জনগণ শক্তিশালী হয়। জনগণ যদি রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী না হয়, তবে রাষ্ট্র ও সরকারও শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, নানা শর্ত বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে জনগণের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার পথে বাধা দিলে গণতন্ত্রের উত্তরণ ব্যাহত হয়। স্বাধীনতার পর থেকে স্বৈরাচারবিরোধী প্রতিটি আন্দোলনে শহীদদের আত্মত্যাগের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট শাসন ব্যবস্থার পতনের পর গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো যদি অহেতুক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে, তবে তা হবে শহীদদের আত্মত্যাগের অবমাননা।
বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশের শিক্ষা, কর্মসংস্থান, পরিবেশ ও উন্নয়ন খাতে নানা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি ব্যবহারিক ও কারিগরি শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করা, নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা, খাল খনন কর্মসূচি চালু করা এবং পাঁচ বছরে ২৫ কোটি গাছ লাগানো।
অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদসহ দলের সিনিয়র নেতারা বক্তব্য দেন। সভাপতিত্ব করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান।