রাজশাহীর মোহনপুরে এনজিও ঋণের চাপে কৃষকের আ’ত্মহ’ত্যা
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর মোহনপুরে এনজিও ঋণের চাপ সহ্য করতে না পেরে আকবর আলী শাহ (৫৫) নামে এক কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। সোমবার সকালে বাড়ির পাশের একটি পান বরজ থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
আকবর আলী শাহ উপজেলার খাড়ইল গ্রামের লুকমানের ছেলে।
নিহতের ছেলে সুমন হোসেন শাহ জানান, প্রতিদিনের মতো ভোরে তার বাবা পান বরজে কাজ করতে যান। সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তিনি শ্রমিকদের নিয়ে বরজে গিয়ে বাবাকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে পাশের আরেকটি বরজে তার বাবাকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পান। স্থানীয়দের সহায়তায় মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে আনা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল ও বাড়ি পরিদর্শন করে এবং মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
মোহনপুর থানার ওসি আতাউর রহমান জানান, আকবর আলী ও তার স্ত্রী সেলিনা বেগম একাধিক এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। তার বাড়ি থেকে ১৩টি এনজিওর ঋণের পাস বই উদ্ধার করা হয়েছে। এনজিওগুলো থেকে তিনি প্রায় ৭ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। কিন্তু পান চাষে লোকসান হওয়ায় কিস্তি শোধ করতে না পেরে মানসিক চাপে ছিলেন।
তিনি আরও জানান, যেসব এনজিওর সঙ্গে আকবর আলী যুক্ত ছিলেন সেগুলো হলো— প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র, গ্রামীণ প্রচেষ্টা, ব্র্যাক, রিক, প্রয়াস, শাপলা, পিএমকে, সিদীপ, আশা, গাক, ডিএফইডি, ইএসডিও ও ভার্ক।
উল্লেখ্য, এর আগে গত শুক্রবার রাজশাহীর পবা উপজেলার বামনশিকড় গ্রামে ঋণ ও অভাব-অনটনের চাপে মিনারুল ইসলাম (৩৫) নামে আরেক কৃষক স্ত্রী-সন্তানদের হত্যা করে আত্মহত্যা করেছিলেন।