শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির
টুইট ডেস্ক : জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশে প্রতিবাদ ও নিন্দা পত্র পাঠিয়েছে। বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুর ১২:৪৫ মিনিটে দলটির পক্ষ থেকে বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় দুটি প্রতিবাদপত্র ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনে জমা দেওয়া হয়।
প্রতিবাদপত্রে শেখ হাসিনাকে “গণহত্যার অভিযুক্ত স্বৈরশাসক” আখ্যা দিয়ে তাকে ভারতের আশ্রয় না দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। জাগপার সহ-সভাপতি ও মুখপাত্র রাশেদ প্রধান প্রতিবাদপত্রে স্বাক্ষর করেন। সকাল ১১টায় আসাদ গেটস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল হাইকমিশনের উদ্দেশ্যে রওনা হন।
প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন। দলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন—প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, সৈয়দ শফিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর আহ্বায়ক শ্যামল চন্দ্র সরকার এবং যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু।
ভারতীয় হাইকমিশনের কোনো কর্মকর্তা প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ না করায় ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি ডিভিশনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার তালাত মাহমুদ শাহান শাহের মাধ্যমে প্রতিবাদপত্র গ্রহণ করা হয়।
প্রতিবাদপত্রে ভারতের বিরুদ্ধে ‘আধিপত্যবাদী নীতি’ এবং বাংলাদেশে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তোলা হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ভারতের সহায়তার আড়ালে প্রায় ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমমূল্যের সম্পদ লুট হয়েছে এবং বাংলাদেশকে ‘করদ রাজ্য’ হিসেবে দেখা হয়েছে। এছাড়া, ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বাংলাদেশকে বঞ্চিত করা, সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা, রাজনৈতিক প্রভাব খাটানো এবং বাংলাদেশ সরকারের ওপর গোয়েন্দা ও সামরিক প্রভাব বিস্তার করার অভিযোগও করা হয়েছে।
জাগপার দাবি করেছে, শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ার মাধ্যমে ভারত বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। দলটি উল্লেখ করেছে, শেখ হাসিনার বৈধ বাংলাদেশি পাসপোর্ট নেই এবং তিনি আন্তর্জাতিকভাবে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত। তাই তাকে অবিলম্বে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো এবং দেশের মাটিতে বিচার সম্পন্ন করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রতিবাদপত্রে আরও বলা হয়েছে, প্রতিবেশী হিসেবে সুসম্পর্ক বজায় রাখার স্বার্থে ভারতের উচিত একতরফা হস্তক্ষেপমূলক নীতি থেকে সরে এসে দ্বিপাক্ষিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে আসা। জাগপার স্পষ্ট করেছে, বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চায়, শত্রুতা নয়।