জাফলংয়ে পাথর লুটপাট বন্ধে সিলেট জেলা প্রশাসনের অভিযান

অবৈধ পাথর-বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত নৌকা ভেঙে ডুবিয়ে দিল প্রশাসন; ক্ষুব্ধ স্থানীয় নৌকা মালিকরা অভিযোগ তুললেন বৈষম্যের!

টুইট ডেস্ক: সিলেটের জাফলং এলাকায় অবৈধভাবে পাথর ও বালু উত্তোলন বন্ধে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন। বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কলি রানি দেবের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানে বিজিবি, আনসার ও পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অংশ নেন।

অভিযান চলাকালে নদীর তীরে ভিড়িয়ে রাখা একাধিক নৌকা হ্যামার দিয়ে ভেঙে ফেলা হয় এবং কিছু নৌকা নদীতে ডুবিয়ে দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, এসব নৌকার মাধ্যমে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন করা হচ্ছিল। পরিবেশ ও নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ রক্ষার স্বার্থে এসব নৌকা ধ্বংস করা হয়।

অভিযানের বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কলি রানি দেব তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তবে স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে যাতে অবৈধ পাথর উত্তোলন কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা যায়।

অন্যদিকে, নৌকা মালিক ও মাঝিরা অভিযানের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। স্থানীয় মোশাররফ নামের এক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, “যারা আসল পাথর উত্তোলন করে, তাদের কিছু বলা হয় না; বরং তাদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা নেওয়া হয়। অথচ আমাদের ঘাটে ভিড়িয়ে রাখা নৌকাগুলো ভেঙে দেওয়া হচ্ছে।”

এক মাঝি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমি কিস্তিতে টাকা এনে নৌকা বানিয়েছি। আজ সেটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এখন আমি কীভাবে চলব? সব দোষ গরিবের ঘাড়ে চাপানো হয়, অথচ যারা মূলত নদী লুট করে, তাদের ধরা হয় না।”

জাফলং অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ পাথর ও বালু উত্তোলন একটি বড় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত। প্রশাসনের দাবি, নদী ও পরিবেশ রক্ষায় অভিযান অব্যাহত থাকবে।

তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, এ অভিযানে প্রকৃত অপরাধীরা ছাড় পাচ্ছে এবং ভুক্তভোগী হচ্ছেন প্রান্তিক নৌকা মালিক ও শ্রমিকরা।