প্লট-ফ্ল্যাট বরাদ্দে বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল

মন্ত্রী, এমপি, বিচারপতি, সরকারি কর্মকর্তা ও সাংবাদিকদের বিশেষ কোটা বাতিল; ধানমন্ডির ১২ বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের বরাদ্দও রহিত!

টুইট ডেস্ক: অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমে এসেছে বড় পরিবর্তন।

বৈষম্যমূলক প্লট-ফ্ল্যাট কোটাব্যবস্থা বাতিল, অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্ত, শহীদ পরিবার ও নিম্ন আয়ের সরকারি কর্মচারীদের জন্য আবাসন প্রকল্প, এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষণে একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৩ আগস্ট) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয় জানায়—রাজউক ও জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের বরাদ্দ বিধিমালা সংশোধন করে মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, বিচারপতি, সরকারি কর্মকর্তা, আইনজীবী, সাংবাদিকসহ পেশাজীবীদের জন্য নির্ধারিত কোটা বাতিল করা হয়েছে। একই পরিবারের একাধিক সদস্যকে প্লট বা ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেওয়ার সুযোগও বন্ধ হয়েছে।

২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত রাজউকের বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে হাইকোর্টের নির্দেশে তিন সদস্যের কমিটি তদন্ত করছে। ধানমন্ডিতে নিয়মবহির্ভূতভাবে পাওয়া ১২টি বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষণে শেরেবাংলা নগরের ১৭.৪৭ একর জমি ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’-এর জন্য হস্তান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শাহবাগে একটি ও জেলাপর্যায়ে আটটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ শেষ হয়েছে; অন্য ৫৫ জেলায় কাজ চলছে। শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধাদের জন্য মিরপুরে ২,৩৮০টি ফ্ল্যাট নির্মাণের প্রকল্প একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায়।

আজিমপুরে নিম্ন আয়ের সরকারি কর্মচারীদের জন্য ৮৩৬টি ফ্ল্যাট নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জনস্বার্থবিরোধী পাঁচটি প্রকল্প বাতিল করে ৪২৬ কোটি টাকা সাশ্রয় করেছে মন্ত্রণালয়।

বিশেষ অডিটে ২০০৯–২০২৪ মেয়াদে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের ২৮২টি অনিয়ম চিহ্নিত হয়। অনিয়মে জড়িত ১১ কর্মকর্তা বরখাস্ত এবং রূপপুর গ্রিন সিটি প্রকল্পে অভিযুক্ত ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা চলছে।