হবিগঞ্জে বিএনপির নেতৃত্বে দৌড়ে এগিয়ে যারা
হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির ১৬ বছর পর কাউন্সিল: তারেক-ফখরুলের নেতৃত্বে ২০ আগস্ট সম্মেলন!
টুইট প্রতিবেদন: ১৬ বছর পর হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির কাউন্সিল ও সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ২০ আগস্ট এই কাউন্সিল ও সম্মেলনের দিন নির্ধারণ করেছে জেলা বিএনপি।
মঙ্গলবার সকালে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জে কে গউছ।
১১ আগস্ট জেলা বিএনপির বিশেষ সভায় কাউন্সিল ও সম্মেলনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হয়। পৌরসভা মাঠে অনুষ্ঠিত হবে সম্মেলন ও কাউন্সিল। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন দলীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, এবং সম্মেলন উদ্বোধন করবেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়াও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
দলীয় সূত্র জানায়, সফল কাউন্সিলের জন্য ইতোমধ্যে বিভিন্ন উপকমিটি ও নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। নির্বাচনের জন্য ১৭ জন দলীয় আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলা আলোচনা ও সমালোচনায় উল্লেখযোগ্য যে, হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতির পদে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন:
জে কে গউছ (কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, সিলেট বিভাগ ও জেলা বিএনপির ১ম যুগ্ম আহ্বায়ক)।
শাম্মী আক্তার (কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ স্থানীয় বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক)।
শেখ সুজাত মিয়া (সাবেক এমপি), সাধারণ সম্পাদক পদে সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন-
ইসলাম তরফদার তনু (জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক), মিজানুর রহমান চৌধুরী, অ্যাডভোকেট এনামুল হক সেলিম, অ্যাডভোকেট কামাল উদ্দিন সেলিম, গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী বেলাল।
অবশ্য, জেলা বিএনপির সর্বশেষ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০০৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর। ওই কাউন্সিলে সৈয়দ মো. ফয়সল সভাপতি ও জে কে গউছ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন।
২০১৯ সালে মো. আবুল হাশিমকে আহ্বায়ক ও জে কে গউছসহ কয়েকজনকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে মো. আবুল হাশিমকে বহিষ্কার করা হয়, এরপর থেকে জে কে গউছ নেতৃত্বে চলছে জেলা বিএনপির কার্যক্রম।
দীর্ঘদিন পর এই কাউন্সিল ঘিরে জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা ও উত্তেজনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের পছন্দের নেতাদের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন। অনেকেই বিগত দিনের আন্দোলন সংগ্রামের স্মৃতিচারণ করছেন। ফলে কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে দলের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা ও শক্তি সঞ্চারিত হচ্ছে।
জে কে গউছ জানিয়েছেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় সিলেট বিভাগের সব জেলা দ্রুত কাউন্সিলের প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে।
হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির ১৫টি ইউনিট ও ১১টি অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের সুপার ফাইভ পদে যারা প্রার্থী হতে চান, তাদের অবশ্যই স্ব স্ব পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে।
নির্বাচিত পদগুলো হল — সভাপতি, সিনিয়র সহ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক। এসব পদে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এবারের কাউন্সিল ও সম্মেলনের মাধ্যমে জেলা বিএনপির শৃঙ্খলা ও সাংগঠনিক শক্তি আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।