জাহাজে হামলার শঙ্কায় সরবরাহ বন্ধের ঘোষণা বিপির : তেলের দাম বৃদ্ধি

প্রতীকী ছবি

বিশ্ব ডিস্ক : তেল ও গ্যাস কোম্পানি বৃটিশ পেট্রোলিয়াম (বিপি) জানিয়েছে, ইয়েমেনের হুথি নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল থেকে জাহাজে হামলার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার ফলে রেড সি দিয়ে তেল ও গ্যাসের সবগুলো চালান বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জ্বালানি খাতের শীর্স্থানীয় কোম্পানিটির এই সিদ্ধান্তের কারণে তেলের দামে বৃদ্ধি হয়েছে, যা সারা বিশ্বে তেল সরবরাহে অনিশ্চয়তার বার্তা ‍দিচেছ।

বিপি সোমবার বিবৃতিতে জানায়, “জাহাজ চলাচলে নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে রেড সি দিয়ে অস্থায়ীভাবে সব ধরণের চালান সরবরাহ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা”।

ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথি নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল থেকে সম্প্রতি জাহাজ ও অয়েল ট্যাংকারগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার কারণে অন্তত ছয়টি জ্বালানি ও শিপিং কোম্পানি রেড সিতে তাদের জাহাজ চলাচল বন্ধ করেছে।

চলমান ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের কারণে ইসরায়েলের সঙ্গে সরাসরি কোনও সম্পর্ক না থাকার পরও গত সপ্তাহ থেকে সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথি রেড সিতে চলাচলকারী জাহাজগুলোতে হামলার মাত্রা বাড়িয়েছে। তাদের হামলার ফলে সিএমএ সিজিএ, ইকুইনর, এভারগ্রিন, হ্যাপাগ-লয়েড, মায়ের্সক, ওরিয়েন্ট ওভারসিজ ও জিআইএম এর মতো কোম্পানিগুলো ওই অঞ্চলে তাদের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে ।

আফ্রিকাকে অ্যারাবিয়ান পেনিনসুলা থেকে বিভক্তকারী বাব এল-মান্দেব প্রণালীটি মেডিটেরানিয়ান সি ও ইন্ডিয়ান ওশান এর মধ্যবর্তী গুরুত্বপূর্ণ একটি সামুদ্রিক পথ।

ইউএস নেভাল ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, রেড সির উত্তর প্রান্তে অবস্থিত এশিয়া ও ইউরোপকে সংযোগকারী সবচেয়ে ছোট জাহাজ চলাচলের পথ সুয়েজ খাল জনপ্রিয় একটি বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচলের পথ। সুয়েজ খালের ব্যবহার বন্ধ হলে জাহাজগুলোকে সাউথ আফ্রিকার সর্বদক্ষিণে অবস্থিত কেইপ অফ গুড হোপ হয়ে ঘুরে যেতে হবে, এর ফলে যাত্রাপথে দীর্ঘ সময় লাগার পাশাপাশি জাহাজ চলাচলের জন্য জ্বালানির খরচও বাড়বে।

সমুদ্রপথে বাণিজ্যে বাধা দূর করার লক্ষ্যে গত সপ্তাহান্তে অ্যামেরিকা ওই অঞ্চলে হুথি সশস্ত্র গোষ্ঠীর নিক্ষেপ করা এক ডজনেরও বেশি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে। হাইট সিকিউরিটিসের বিশ্লেষক জেস কোলভিন্ট বলেছেন, এতে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়তে পারে। তিনি তার প্রতিবেদনে বলেন, “বাইডেন প্রশাসন আগ্রাসী পদক্ষেপ না নিলে রেড সি তে হুথিদের এ ধরণের হামলা চলতে থাকবে”। প্রশাসন যদি ইয়েমেনে হামলার সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে হুথিদের অংশীদার ও পৃষ্ঠপোষক ইরানের সঙ্গে সংঘাতের সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।