সুনামগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির ৭, জামায়াতের একক প্রার্থী মাঠে
হাওর জনপদে নির্বাচনী প্রস্তুতি তুঙ্গে
টুইট প্রতিবেদন: ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে হাওরবেষ্টিত সুনামগঞ্জ-১ আসনে রাজনৈতিক মাঠে প্রাণচাঞ্চল্য বেড়েছে। বিএনপি থেকে অন্তত সাতজন মনোনয়নপ্রত্যাশী ও জামায়াতের একক প্রার্থী মাঠে সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন।
তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনটি আয়তন, ভোটার সংখ্যা, প্রাকৃতিক সম্পদ এবং পর্যটন সম্ভাবনার কারণে কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ একটি এলাকা।
বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা
বিএনপির সাতজন প্রার্থী নিজ নিজ এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ, কর্মিসভা, সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ এবং ডিজিটাল প্রচারে সক্রিয়। তারা হলেন,
কামরুজ্জামান কামরুল – তাহিরপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান।
আনিসুল হক – কেন্দ্রীয় কৃষকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
আব্দুল মোতালিব খান – ধর্মপাশা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান।
সালমা নজির – সাবেক এমপি নজির হোসেনের স্ত্রী।
নিজাম উদ্দিন – ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি।
মাহবুবুর রহমান – যুবদলের সাবেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ)।
ব্যারিস্টার হামিদুল হক আফিন্দী লিটন – যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক।
সালমা নজির বলেন, “আমার স্বামী নজির হোসেন এই আসনে দীর্ঘদিন মানুষের প্রতিনিধি ছিলেন। আমি তার অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে চাই।”ূৃ
আনিসুল হক বলেন, “দলের দুঃসময়ে আমি মাঠে ছিলাম, মামলা-হামলা সয়ে আন্দোলনে সক্রিয় ছিলাম।”
মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, “তরুণদের ত্যাগ ও সাহসিকতা দলের মূল্যায়নের দাবিদার।”
আব্দুল মোতালিব খান বলেন, “দলের জন্য বহুবার জেল খেটেছি, আমি ত্যাগের যথাযথ মূল্যায়ন প্রত্যাশা করি।”
জামায়াতের একক প্রার্থী
সুনামগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা তোফায়েল আহমদ খান দলের একক প্রার্থী হিসেবে মাঠে সক্রিয়। তিনি বলেন, “উন্নয়ন, ন্যায্যতা ও ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠাই আমার লক্ষ্য। আদর্শ সমাজ গঠনই আমার প্রতিশ্রুতি।
একসময় বিএনপির প্রার্থী হিসেবে অংশ নেওয়া অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম চৌধুরী বিকল্পধারায় যোগ দিয়ে ২০১৮ সালে মনোনয়ন না পেলেও এবার আবার বিএনপির টিকিট চান বলে ঘোষণা দিয়েছেন। এতে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
এখন পর্যন্ত এবি পার্টি, এনসিপি ও অন্যান্য ইসলামী দলের কাউকে নির্বাচনী মাঠে দেখা যাচ্ছে না।
সুনামগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির বহুমুখী প্রার্থীতার কারণে দলীয় সমন্বয় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে জামায়াতের একক প্রার্থী হিসেবে তোফায়েল আহমদের অবস্থান জোরালো। নির্বাচনী লড়াইয়ে কে এগিয়ে থাকবে, তা নির্ভর করছে আসন্ন দলের সিদ্ধান্ত, জোটগত সমীকরণ ও জনগণের প্রতিক্রিয়ার ওপর।