আমেরিকায় আঘাত করতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে নর্থ কোরিয়া

নর্থ কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার বিষয়ে সাউথ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্টরা আলোচনা করছেন। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ব ডেস্ক : নর্থ কোরিয়া নতুন একটি দূরপাল্লার ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। আমেরিকার যে কোনও জায়গায় আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র। এ তথ্য জানান জাপানিজ প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা।

এবিসি নিউজ সূত্র জানায়, কিশিয়া উল্লেখ করেছেন যে ক্ষেপণাস্ত্রটির আবর্তনের কক্ষপথের ওপর ভিত্তি করে মনে করা হচ্ছে এটি ৯,৩০০ মাইল দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।

গত (১৮ ডিসেম্বর) রাতে ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণের পর নর্থ কোরিয়া সোমবার আরেকটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে জানিয়ে কিশিদা বলেন, “আমি সরকারে সংশ্লিষ্টদের জনসাধারণের কাছে এ তথ্য দিতে বলেছি এবং সঠিকভাবে নিরাপত্তা পরীক্ষা করার নির্দেশনা দিয়েছি। এখন পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি৷”

সাউথ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফ জানান, “সোমবার সকাল ৮টা ২৪ মিনিটে ক্ষেপনাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করে নর্থ কোরিয়া।” এটি ইস্ট সিতে বিধ্বস্ত হওয়ার আগে প্রায় ৬২১ মাইল উড়ন্ত অবস্থায় ছিল।

কোরীয় উপদ্বীপের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকে ‘উস্কানি’ হিসেবে দেখছেন সাউথ কোরিয়ার সামরিক কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে সাউথ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর জয়েন্ট চিফ বলেন, আমেরিকা ও আমাদের সম্মিলিত সামরিক বাহিনী অনেক শক্তিশালী। যা নর্থ কোরিয়ার বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের উপর কড়া নজর রেখে যেকোনো উসকানিতে অপ্রতিরোধ্যভাবে জবাব দেয়ার ক্ষমতা ও প্রস্তুতি বজায় রাখবে।’

নর্থ কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার আমেরিকান ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার জ্যাক সুলিভান মিত্র সাউথ কোরিয়ান জাতীয় নিরাপত্তা অফিসের পরিচালক চো তাইয়ং ও জাপানের জাতীয় নিরাপত্তা সচিবালয়ের সেক্রেটারি জেনারেল আকিবা তাকোর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন।

আমেরিকান স্টেইট ডিপার্টমেন্টের ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার এক বিবৃতিতে নর্থ কোরিয়ার এ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার নিন্দা জানান এবং বলেন, ‘এটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একাধিক প্রস্তাবের স্পষ্ট লঙ্ঘন’।

জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় অবশ্য রোববারই একটি সতর্কতা জারি করেছিল যে, ‘নর্থ কোরিয়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করতে পারে’।