গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় ঐক্যের ডাক তারেক রহমানের

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, “গণতন্ত্র না থাকলে কেউই নিরাপদ নয়। তাই আসুন—গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হই।”

বুধবার (৬ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির বিজয় র‌্যালি উপলক্ষে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ আহ্বান জানান। চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে সকাল থেকেই নয়াপল্টন জনসমুদ্রে রূপ নেয়। ফকিরাপুল থেকে কাকরাইল পর্যন্ত দীর্ঘ সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

ফ্যাসিবাদ-পরবর্তী ‘আলোর যাত্রা’

তারেক রহমান বলেন, “দীর্ঘ দেড় দশকের অপেক্ষার পর আজ আমাদের সামনে এক ঐতিহাসিক সুযোগ এসেছে। যদি আমরা গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারি, তাহলে দেশে আর কখনো ফ্যাসিবাদের পুনর্জন্ম হবে না।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমান প্রেক্ষাপটে জনগণের সামনে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতা নিশ্চিত করার অপার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।”

নির্বাচন ও ৩১ দফা কর্মসূচি

বিএনপি কী ধরনের রাষ্ট্র ও সরকার চায়, সে বিষয়ে ৩১ দফা রূপরেখা তুলে ধরার কথা স্মরণ করিয়ে তারেক বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার সব দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে, যা জনগণের অভিপ্রায় বাস্তবায়নের দিকেই একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ।

সরকার পতনের চিত্র তুলে ধরে ক্ষোভ

তারেক রহমান অভিযোগ করেন, “বিরোধী দলগুলোর হাজার হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে শত শত মিথ্যা মামলা, গুম, হত্যা, নির্যাতন চালানো হয়েছে। ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানে দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।”
তিনি আরও বলেন, “ক্ষমতার লোভে পুলিশ বাহিনীর মনোবল ভেঙে দেওয়া হয়েছে, বিডিআরের নাম পর্যন্ত বদলে দেওয়া হয়েছে।”

প্রতীকী প্রতিবাদ ও র‌্যালির চিত্র

র‌্যালিতে ছিল ব্যান্ড পার্টি, প্রতীকী খাঁচাবন্দি ‘শেখ হাসিনা’, এবং ধানের শীষ দিয়ে সাজানো মিছিল। মুক্তিযোদ্ধা দল থেকে আওয়ামী সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী-এমপিকে প্রতীকী বন্দি হিসেবে উপস্থাপন করা হয়।
র‌্যালিটি বিজয়নগর, পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেস ক্লাব হয়ে শাহবাগে গিয়ে শেষ হয়। একযোগে সব বিভাগীয় শহরেও বিজয় র‌্যালির আয়োজন করে বিএনপি।

নেতাদের বক্তব্য

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, সালাহউদ্দিন আহমেদ, রুহুল কবির রিজভী, রফিকুল আলম মজনু, আমিনুল হক, আসাদুজ্জামান রিপন, আমান উল্লাহ আমান, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল প্রমুখ।