তফসিল ভোটের দুই মাস আগে, ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন: সিইসি
- গুজব ঠেকাতে এআই ব্যবহারের উদ্যোগ।
- অংশগ্রহণমূলক ভোটে জোর দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
টুইট ডেস্ক: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে, এবং তফসিল ঘোষণা করা হবে ভোটের দুই মাস আগে।
তিনি জানান, এখনো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো চিঠি না এলেও, নির্বাচন কমিশন (ইসি) সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।
সিইসি বলেন, “যত কঠিন সময় আসুক, নির্বাচন সময়মতো হবে। অংশগ্রহণমূলক, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন আয়োজনই আমাদের অঙ্গীকার।” এ লক্ষ্যে তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর পূর্ণ সহযোগিতা কামনা করেন এবং উল্লেখ করেন, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা।
তিনি আরও বলেন, “আমরা বিশ্বকে দেখাতে চাই নির্বাচন কমিশনের আন্তরিকতায় কোনো ঘাটতি নেই।”
ভোটারদের আস্থা ফেরাতে ম্যাসিভ অ্যাওয়ারনেস ক্যাম্পেইন শুরু করবে ইসি। সিইসি মনে করেন, ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতিই নির্বাচনের সফলতার মূল চাবিকাঠি।
তার মতে, “রাজনৈতিক দল না এলেও ভোটারদের অংশগ্রহণ থাকলে সেটাই হবে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন।”
সিইসি জানান, ভোট ঘনিয়ে এলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে। নির্বাচনকালীন গুজব ও বিভ্রান্তি ঠেকাতে এআই ব্যবহারের মাধ্যমে নজরদারি বাড়ানোর উদ্যোগ নিচ্ছে ইসি।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণে কোনো পক্ষপাতিত্ব হবে না। সিইসির ভাষায়, “কারো চেহারা দেখে সীমানা নির্ধারণ হবে না।”
রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রসঙ্গে তিনি জানান, যেসব দল শর্ত পূরণ করেনি তাদের চিঠি দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে যারা কাগজপত্র ঠিক রেখেছে, তাদের মাঠ পর্যায়ে যাচাই-বাছাই করা হবে। এ প্রক্রিয়া চলবে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
ইসি প্রধান জানান, ভোটার তালিকার কাজ শেষ, তবে তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত নতুন তরুণ ভোটারদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
সিইসি বলেন, নির্বাচন উপলক্ষে একটি মাসব্যাপী সংলাপ পরিকল্পনা রয়েছে। শুধু রাজনৈতিক দল নয়, সাংবাদিক, সুশীল সমাজসহ সব স্টেকহোল্ডারের সঙ্গেও বসবে ইসি।
তিনি আরও বলেন, “ভোটারদের কেন্দ্রে আনা এবং জনগণের আস্থা ফেরানো এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। কেউ চাপ প্রয়োগ করলে সম্পূর্ণ আসনের ভোট বন্ধ করে দেওয়া হবে।”