রুটের আক্ষেপের তালিকায় বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া

ইংল্যান্ডের ইতিহাসে অন্যতম সেরা ব্যাটার জো রুট

শতকে অনন্ত অপেক্ষা দুই মহাদেশে

স্পোর্টস ডেস্ক: টেস্ট ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের ইতিহাসে অন্যতম সেরা ব্যাটার জো রুট। পরিসংখ্যানের পাতায় তার নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ২১ হাজারের বেশি আন্তর্জাতিক রান, ৫৭টি সেঞ্চুরি এবং একটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ ট্রফি।

তবে এতসব অর্জনের পরও রুটের ক্যারিয়ারে রয়ে গেছে কিছু অপূর্ণতা—যা তার ক্রিকেটজীবনে আক্ষেপ হয়ে রয়ে গেছে। সবচেয়ে বড় দুটি নাম—অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশ।

আগামী নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে শুরু হতে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী অ্যাশেজ সিরিজ। ২০১۲ সালে টেস্ট অভিষেক হওয়ার পর থেকেই রুট নিয়মিত অংশ হয়েছেন এই মর্যাদাপূর্ণ লড়াইয়ে। তবে অবাক করা বিষয় হলো, এখনো অজিদের মাটিতে রুটের কোনো শতক নেই।

তিনি অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ৭০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন, যার মধ্যে চারটি সেঞ্চুরি করলেও সবকটিই ইংল্যান্ডে। অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে তার গড় ও পারফরম্যান্স চাহিদা অনুযায়ী না হলেও রুটের ধারাবাহিকতা ও ধৈর্য প্রশংসনীয়। এবার কি শতক না পাওয়ার সেই হতাশা দূর করতে পারবেন?

রুটের আরেকটি অনন্য আক্ষেপের জায়গা হচ্ছে বাংলাদেশ। ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের সফরে দুইটি টেস্ট খেলেছিলেন তিনি ঢাকায়। চার ইনিংসে তার সর্বোচ্চ রান ছিল মাত্র ৫৬। কোনো শতকের দেখা পাননি তিনি।

যদিও ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের বিপক্ষে স্মরণীয় ইনিংস রয়েছে তার নামের পাশে। ২০১৭ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে অপরাজিত ১৩৩ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেছিলেন রুট। তবে বাংলাদেশের মাটিতে সেই রকম কোনো ইনিংস নেই।

আর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে তিনি কখনোই বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলেননি।

বর্তমানে বয়স ৩৪ ছুঁইছুঁই, রুটের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার ধীরে ধীরে শেষপ্রান্তের দিকে এগোচ্ছে। যেখানে অস্ট্রেলিয়ায় শতক পূরণের জন্য আগামী অ্যাশেজই হতে পারে শেষ বড় সুযোগ, সেখানে বাংলাদেশের মাটিতে আর কখনো খেলতে পারবেন কিনা, তা নিয়েই রয়েছে অনিশ্চয়তা।

বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড দ্বিপাক্ষিক সিরিজ নিয়মিত হয় না, আর রুটের ফর্ম ও বয়স বিবেচনায় ভবিষ্যতে কোনো সফরে স্কোয়াডে থাকবেন কিনা, সেটাও প্রশ্নসাপেক্ষ।

বিশ্ব ক্রিকেটে জো রুটের নাম মানেই পরিপক্বতা, দৃঢ়তা এবং নির্ভরযোগ্যতা। কিন্তু ক্রিকেট-ভাগ্যে কিছু জায়গা থেকে যায় অপূর্ণ। অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষের মাটিতে শতকের অভাব যতটা কষ্টদায়ক, বাংলাদেশের মতো টেস্ট খেলুড়ে দেশের মাঠে এমন অপূর্ণতা রুটের ক্যারিয়ারে এক নীরব দুঃখ।