সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমেই দেশে গণতন্ত্র ফিরবে, প্রত্যাশা মির্জা
টুইট ডেস্ক: ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে নির্বাচন হবে- গতকাল প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর ইউনূসের এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, যথা সময়ে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশ রাজনৈতিকভাবে আবার গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরবে। আশা করছি, রাষ্ট্র কাঠামোর বাকি সংস্কারগুলো সম্পন্ন করে যথাসময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আজ বুধবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
মির্জা ফখরুল বলেন, লন্ডনে ডক্টর ইউনুস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের যে কমিটমেন্ট ছিল গতকাল প্রধান উপদেষ্টা আবারও সেটি আশ্বস্ত করেছেন। এজন্য প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যেতে চায়। তাই নির্বাচন ছাড়া আমরা কিছুই ভাবছি না। কারণ নির্বাচিত সরকার ছাড়া কোনভাবেই শহীদদের কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব নয়।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, গত ১৬ বছর একটি ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করেছি। অসংখ্য মানুষ গুম খুন হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। এ ধারাবাহিক আন্দোলন গত বছরের ৫ আগস্ট চূড়ান্ত রূপ লাভ করে। পতন হয় ফ্যাসিবাদ হাসিনা সরকারের।
বিএনপিকে নেতৃত্বশূন্য করতে চেয়েছিল জানিয়ে মহাসচিব বলেন, সারাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে ৬০ লাখ মামলা দিয়েছিল হাসিনা সরকার। আমাদের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে ১০ বছর সাজা দিয়েছিল। তারেক রহমানকে সাজা দিয়েছিল। আসলে হাসিনার উদ্দেশ্য ছিল বিএনপিকে নেতৃত্বশূন্য করা।
ফখরুল বলেন, শেখ হাসিনা দেশের প্রত্যেকটি সেক্টর ধ্বংস করে গেছে। ব্যাংক শেয়ার বাজার লুটপাট করেছে। ধ্বংসস্তূপের উপর দাঁড়িয়ে ড. ইউনূস এবং উপদেষ্টারা যেভাবে গত এক বছর দেশ পরিচালনা করেছে তাদেরকে ধন্যবাদ জানায়।
গত ১৬ বছর বিএনপি ও দেশকে সঠিকভাবে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য তারেক রহমানকে ধন্যবাদ জানান ফখরুল। তিনি বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমেই আধুনিক মানবিক বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ তৈরি হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন করার জন্য এখনো যথেষ্ট সময় আছে। অতীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার তিন মাসে নির্বাচন করে দেখিয়েছে। তাছাড়া আমরা বিশ্বাস করি, ডক্টর ইউনুস এমন কোন পদক্ষেপ নিবেন না যাতে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হয়।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনে জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্রকে বিএনপি স্বাগত জানাচ্ছে। পরবর্তী নির্বাচিত সরকার এসব সাংবিধানিক সংস্কার বাস্তবায়ন করবে এটাই বৈধ প্রক্রিয়া, সঠিক প্রক্রিয়া।