গণআন্দোলনের ধারায় ঘোষিত হলো ২৮ দফার জুলাই ঘোষণাপত্র
টুইট ডেস্ক : জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করেছেন। এই ঘোষণাপত্রে ২৮ দফার মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের গণআন্দোলনের ধারাবাহিক ইতিহাস ও প্রেক্ষাপট।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর বৃষ্টির মধ্যে ডায়াসে দাঁড়িয়ে ড. ইউনূস বলেন, “আমাদের জন্য রহমত বর্ষিত হচ্ছে, আল্লাহর রহমত নিয়ে আমি এই ঘোষণাপত্র পাঠ করবো…” — এর মাধ্যমে তিনি পাঠ শুরু করেন।
ঘোষণাপত্র পাঠকালে তার পাশে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা। তাঁদের মধ্যে ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এবং নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
ঘোষণাপত্রে অন্তর্ভুক্ত উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে—
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা এবং পরবর্তী সংবিধান রচনায় বিচ্যুতি,
৭৫ পরবর্তী রাজনৈতিক ঘটনাবলি, একদলীয় শাসন, সামরিক শাসন ও গণআন্দোলন,
শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে দমন-পীড়নের বিবরণ,
১/১১ পরিস্থিতি এবং সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সংকট,
২০২৪ সালের জুলাই মাসে সংঘটিত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান,
সরকারের পতন, অন্তর্বর্তী সরকার গঠন এবং ভবিষ্যতের সুশাসনের লক্ষ্যে সংস্কার প্রত্যয়।
ঘোষণাপত্রে জনগণের পক্ষ থেকে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, মানবাধিকার সুরক্ষা, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন এবং টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার অভিপ্রায় প্রকাশ করা হয়। একইসঙ্গে ‘ছাত্র-গণঅভ্যুত্থান ২০২৪’-কে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদান ও শহীদদের জাতীয় বীর ঘোষণার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন এই অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনেই দেশ পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়।