জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে কাঁচি মার্কায় ভোট চাইলেন এমপি এনামুল

নিজস্ব প্রতিবদেক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে কাঁচি প্রতীক পেয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপি। সোমবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা শামীম আহমেদ প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেন। এর পর প্রতীক নিয়ে তার নির্বাচনী এলাকায় প্রচার প্রচারণা শুরু করেন টানা তিনবারের এমপি এনামুল হক।

বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে নেতাকর্মীদের নিয়ে র‌্যালী বের করে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন তিনি। র‌্যালী নিয়ে তিনি ভবানীগঞ্জ নিউমার্কেটে গিয়ে শেষ করেন। সেখানে পথসভায় বক্তব্য রাখদিয়ে গিয়ে জয়বাংলা শ্রোগান দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এনমুল হক। এ সময় তিনি এবার কাঁচি প্রতীকে ভোট দিয়ে বাগমারার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য ভোটারদের প্রতি অনুরোধ জানান।

উপজেলা আওযামী লীগের সভাপতি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুল হক বলেন, দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হলেও দলের হাই কমান্ডের নির্দেশে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে এবার নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। এবার আমার প্রতীক কাঁচি। আমি আসা করি এবার কাঁচি প্রতীকে ভোট দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী ‘স্মার্ট বাগমারা’ গড়ার আমার পরিকল্পনা বাস্তাবায়ন করবেন। আপনারা যদি সেই সুযোগ দেন তবে আবারও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাগমারাতে নিয়ে আনতে পারব এবং কাঁচি দিয়ে ফিতা কেটে ‘স্মার্ট বাগমারা’ উদ্বোধন করে যাবেন।

নৌকার প্রার্থীকে ইঙ্গিত করে এমপি এলামুল হক বলেন, বাগমারার মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা বন্ধ করুণ। ভোটের মাঠে ভোট চান। ভোটের মাঠে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করার চেষ্টা না করে জনগণের সাথে মিলেমিশে চলুন। কোন হুমকী-ধামকী দিয়ে বাগমারার সাধারণ মানুষকে দাবায়া রাখা যাবে না। বাগমারার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ জেগে উঠেছে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। কোন রকম সন্ত্রাসী করে সাধারণ মানুষের রক্ত ঝরানোর চেষ্টা করলে সেটার সঠিক জবাব দেয়া হবে। কোনভাবেই আর বাগমারাকে অসান্ত করতে দেওয়া হবে না।

নির্বাচনী প্রচারকালে তার সঙ্গে ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ভবানীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আব্দুল মালেক মন্ডল, সহ-সভাপতি মতিউর রহমান টুকু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ, দপ্তার সম্পাদক দপ্তর সম্পাদক নূরুল ইসলাম, সোনাডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আজাহারুল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য নাজমুল হক মুন্টু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ আক্তার বেবী।

এছাড়াও কাচারী কোয়ালীপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক, নরদাশ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন, দ্বীপপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মকলেছুর রহমান দুলাল, ঝিকরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ ফৌজদার, বড়-বিহানালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা, বাসুপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারীক, হামিরকুৎসা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাফিনুর নাহার, আউচপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রহিম প্রমুখ।

টানা তিনবারের সংসদ সদস্য এনামুল হক এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। তার স্থলে এবার দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আজাদ। এদের মধ্যে এনামুল হকের প্রতীক কাঁচি ও আবুল কালামের নৌকা।

তারা দুইজন ছাড়াও এ আসনে প্রার্থী রয়েছেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজশাহী জেলা যুবলীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক বাবুল হোসেন বাবুল হোসেন (মাথাল), জাতীয় পার্টির আবু তালেব প্রামানিক (লাঙল), বিএনএমের সাইফুল ইসলাম রায়হান (নোঙর) ও এনপিপির জিন্নাতুল ইসলাম জিন্না (আম) প্রতীক পেয়েছেন।