পাত্রীর হাতে চা খেয়ে বেহুঁশ পাত্র, এরপর যা ঘটল

টুইট ডেস্ক: বিয়ের জন্য পাত্রী খুঁজছিলেন যুবক, একজন পাত্রী পছন্দও হলো। উদ্দেশ্য ছিল সামনাসামনি বসে নিজেদের সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জেনে নেবেন। সবকিছু মিলে গেলে এই পাত্রীর সঙ্গেই ঘর বাঁধবেন।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, পাত্রীর সঙ্গে দেখা করা জন্য যুবক বাড়ি থেকে বের হন। একটি রেস্তোরাঁয় দেখা হয়। নানা বিষয় নিয়ে শুরু হয় কথাবার্তা। অবশেষে চা এলো, যুবকের কাছে চা এগিয়ে দিলেন পাত্রী। দুজনে চাও পান করলেন। কিন্তু পাত্রীর দেওয়া চা খাওয়ার পরেই বেহুঁশ পাত্র। জ্ঞান যখন ফিরল মাথায় হাত যুবকের। দেখলেন, মানিব্যাগ হাওয়া। মোবাইলটাও নেই! তারপর সোজা থানায়। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার হলেন ‘পকেটমার পাত্রী।’ চুরি যাওয়া মোবাইল কেনার অভিযোগে বিধাননগর পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হলেন এক বাংলাদেশি যুবকও। এই পুরো ঘটনাটি ভারতের উত্তর ২৪ পরগনার। ভারতের কলকাতার আনন্দবাজার ডট কম অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে এ সংবাদটি।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃত নারীর নাম জিয়া সিংহ। নিউ ব্যারাকপুরের লেনিনগড়ের বাসিন্দা জনৈক সুদীপ বসু তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন থানায়। সুদীপের দাবি, একটি ঘটকালির ওয়েবসাইটে জিয়ার সঙ্গে তার আলাপ। গত ১ জুলাই তারা একটি হোটেলে দেখা করেন। সেখানে ওই যুবতী তাকে চা খেতে দিয়েছিলেন। চা খাওয়ার পরে জ্ঞান হারান সুদীপ। যখন তার জ্ঞান ফেরে, তিনি দেখেন মোবাইল এবং মানিব্যাগ নেই! ওই মহিলার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করতে গিয়ে ব্যর্থ হন।

ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে এয়ারপোর্ট থানায় ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১২৩, ৩০৩ (২), ৩১৬ (২), ৩১৮ (৪) ধারায় মামলা করা হয়। তদন্তে নেমে গ্রেপ্তার করা হয় জিয়াকে। তদন্তের স্বার্থে মহিলাকে হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, অভিযুক্ত মহিলা বাংলাদেশের এক বাসিন্দাকে সুদীপের মোবাইল বিক্রি করে দিয়েছেন। জিয়াকে জেরা করে হাসান নামে রাজশাহীর ওই যুবককে দমদম এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে এ-ও খবর, ৪০ বছরের মহামদ্দুল মূলত চুরি করা মোবাইল পাচারের কাজ করেন। গত ৩০ জুলাই দমদম স্টেশন থেকে তাকে ধরার পর সেই সমস্ত তথ্য পাওয়া গিয়েছে। ৬ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে থাকা বাংলাদেশি স্বীকার করে নিয়েছেন পুরোনো জিনিস কেনাবেচার ওয়েবসাইট থেকে জিয়ার কাছ থেকে মোট ১০টি মোবাইল কিনেছিলেন তিনি। সেগুলো বাংলাদেশের বাজারে বিক্রি করে দিয়েছেন। তা ছাড়া পশ্চিমবঙ্গে ঢুকে বিভিন্ন জায়গায় হোটেলে থাকতেন ওই বাংলাদেশি। পার্ক স্ট্রিটে একটি হোটেলে বেশ কিছু দিন ছিলেন। তার কাছে বৈধ কাগজপত্র রয়েছে কি না, এই চক্রে তার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত কি না তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।