ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে সীমানা পুনর্বিন্যাসে বিক্ষোভ

টুইট ডেস্ক : ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের প্রতিবাদে জেলার বিজয়নগর উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা চান্দুরা এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে স্থানীয়রা এই বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতিস্বরূপ নির্বাচন কমিশন দেশের ৩৯টি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণের প্রাথমিক গেজেট প্রকাশ করেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সীমানায় বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে; যেখানে পূর্বে সদর ও বিজয়নগর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন অন্তর্ভুক্ত থাকলেও, নতুন গেজেটে বিজয়নগরের হরষপুর, চান্দুরা ও বুধন্তি ইউনিয়নগুলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের আওতায় রাখা হয়েছে।

বিজয়নগর উপজেলার চারজন বাসিন্দা প্রধান নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত আবেদন পাঠিয়েছেন এই তিন ইউনিয়ন পুনরায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য।

বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের নেতৃত্ব দেন উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম। এতে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও স্থানীয় লোকজন অংশগ্রহণ করেন। তারা বলেন, বিজয়নগরের প্রায় ৯৬ হাজার ভোটার থাকা তিন ইউনিয়ন ছাড়া একক সংসদীয় আসন হিসেবে উপজেলার স্বার্থ ক্ষুণ্ন হচ্ছে। নতুন সীমানা পুনর্নির্ধারণের ফলে উন্নয়ন ব্যাহত হবে ও প্রশাসনিক জটিলতা সৃষ্টি হবে। তাঁরা বিজয়নগরকে একক সংসদীয় আসন হিসেবে রাখার দাবি জানান।

বিজয়নগর উপজেলার গোলাম মোস্তফা, এ কে এম গোলাম মুফতি ওসমানী, মো. জাহিদুজ্জামান চৌধুরী ও মো. বায়েজিদ মিয়া স্বাক্ষরিত আবেদনটি বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়। আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়, উপজেলার ১০টি ইউনিয়নকে দুই অংশে ভাগ করে তিনটি ইউনিয়ন অন্য আসনে যুক্ত করা বিভ্রান্তিকর এবং বেআইনি; তাই পুরো উপজেলা একটি সংসদীয় আসনে থাকা উচিত।

চান্দুরা এলাকার কলেজ শিক্ষক মো. আল আমিন বলেন, “বিজয়নগরকে কোনোভাবেই দ্বিখণ্ডিত করা যায় না। এটা শুধু প্রশাসনিক সমস্যা নয়, এলাকার উন্নয়নের জন্যও বড় ধাক্কা।”