আমেরিকার এয়ার ফ্রায়ার ফেরত চাওয়া হলো নিরাপত্তার কারণে

ফেরত চাওয়া দুইটি মডেলের এয়ার ফ্রায়ার। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ব ডেস্ক : আমেরিকার কনজিউমার প্রোডাক্ট সেইফটি কমিশন (সিপিএসসি) এর বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এবিসি নিউজ তাদের এক প্রতিবেদনর জানিয়েছে, সম্ভাব্য অগ্নি দুর্ঘটনার ঝুঁকির কারণে অসংখ্য ‘এয়ার ফ্রায়ার’ ফেরত চাওয়া হয়েছে।

সিপিএসসি ও পাওয়ার এক্সএল তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, ‘বিশ্ববিখ্যাত ফ্র্যান্চাইয প্ল্যাটফর্ম এমপাওয়ার ব্র্যান্ডস’ দুইটি মডেলে সম্ভাব্য দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকার কারণে তাদের পাওয়ার ‘এক্সএল ব্র্যান্ড’ এর ৩১৯ হাজার ডুয়াল বাসকেট এয়ার ফ্রায়ার ফেরত চেয়েছে।

‘সিপিএসসি জানিয়েছে, ‘এয়ার ফ্রায়ারগুলোর দুইটি মডেলে ত্রুটিপূর্ণ উপাদানের উপস্থিতির কারণে প্রাথমিকভাবে ডিসেম্বরের ১৪ তারিখে সেগুলো ফেরত চাওয়ার পদক্ষেপ নেয়া হয়। ওই সময়ের মধ্যে তিন বার আগুনে পুড়ে যাওয়ার দুর্ঘটনাসহ কোম্পানিটির কাছে এই দ্রব্যটি ভেঙে যাওয়ার মোট ৪১ টি অভিযোগ আসে।’

এয়ার ফ্রায়ারগুলো ফেরত চেয়ে দেয়া বিজ্ঞপ্তিতে সিপিএসসি বলে, “ব্যবহারের সময় এয়ার ফ্রায়ারের ভেতর থাকা খাবারের ঝুড়ি দুইটির সংযোগকারী প্লাস্টিক ইউ চ্যানেল কানেক্টরটি ভেঙে যেতে পারে এবং এর ফলে অগ্নি দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।”

ফেরত চাওয়া এয়ার ফ্রায়ারের মডেল দুইটি হলো, ‘পাওয়ার এক্সএল ডিইউএএফ টেন’ ও‘ডিইউএএফ জিরো জিরো ফাইভ ভরটেক্স ডুয়াল বাস্কেট এয়ার ফ্রায়ার’।

‘সিপিএসসির ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘ডিম্বাকৃতির এয়ার ফ্রায়ারগুলোতে আলাদাভাবে ব্যবহার করা যায় এমন দুইটি ঝুড়ি রয়েছে। ঝুড়ি দুইটি একসঙ্গে জোড়া লাগিয়ে একটি বড় ঝুড়ি হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।’

ফেরত চাওয়া মডেল দুইটি বাজারে কালো ও সিনামন রং এ পাওয়া যেতো।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে গ্রাহকদেরকে ‘এয়ার ফ্রায়ারগুলোর’ ব্যবহার বন্ধ করতে বলা হয়। এছাড়াও সেগুলো ক্রয়ের জন্য খরচ করা সম্পূর্ণ অর্থ ফেরত পাওয়ার জন্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ক্রেতাদেরকে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিটিতে।

সিপিএসসি তাদের বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, টার্গেট, ওয়ালমার্ট ও কোল সহ অন্যান্য বৃহৎ খুচরা বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানগুলো ২০২১ সালের অগাস্ট থেকে ২০২৩ সালের অক্টোবরের মধ্যে ফেরত চাওয়া ওই এয়ার ফ্রায়ারগুলো বিক্রি করেছে। এয়ার ফ্রায়ারগুলোর দাম ছিল ৬০ ডলার থেকে ১৯০ ডলারের মধ্যে।