রাবির টেন্ডারে দর গোপন, অনিয়মের অভিযোগ অংশগ্রহণকারীদের
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাবি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) সাতটি দোকান বরাদ্দের টেন্ডার খোলার পরও দুই দিন পেরিয়ে গেলেও ফলাফল ঘোষণা না করায় ‘অস্বচ্ছতা ও অনিয়মের’ অভিযোগ তুলেছেন অংশগ্রহণকারী দরদাতারা।
তাদের অভিযোগ, উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতি (ওটিএম) অনুযায়ী টেন্ডার খোলার দিনই সবার সামনে দর ঘোষণা করার নিয়ম থাকলেও তা মানা হয়নি। গত সোমবার (২৮ জুলাই) টেন্ডার বাক্স খোলার পর উপস্থিতি স্বাক্ষর নিয়ে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এতে রাজনৈতিক প্রভাব বা দুর্নীতির আশঙ্কা করছেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভাষ্য, দরপত্রগুলো মূল্যায়নের জন্য ইভালুয়েশন কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে, এবং পুরো প্রক্রিয়া ‘স্বচ্ছভাবেই’ চলছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, ক্যাম্পাসের পাঁচটি স্থানে নির্মিত ১৫টি দোকানের মধ্যে সাতটির জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয়। সোমবার কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মতিয়ার রহমানের কার্যালয়ে টেন্ডার বক্স খোলা হয়। সাত দোকানের বিপরীতে ১৭টি দরপত্র জমা পড়ে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই দরদাতা বলেন, “নিয়ম অনুযায়ী দর ঘোষণার কথা থাকলেও আমাদের সামনে তা করা হয়নি। এতে অনিয়মের সন্দেহ জাগে।”
অন্য এক দরদাতা মো. ইব্রাহীম আকন্দ বলেন, “দুই দিনেও ফল জানানো হয়নি। মনে হচ্ছে রাজনৈতিক পক্ষপাত বা দুর্নীতি ঘটতে পারে।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী খন্দকার শাহরিয়ার রহমান বলেন, “ওটিএম অনুযায়ী দরপত্র খোলার দিনই দর ঘোষণা করা উচিত। তবে আমি এই কমিটির সদস্য নই।”
অভিযোগ অস্বীকার করে বরাদ্দ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মতিয়ার রহমান বলেন, “দরপত্র স্বচ্ছভাবে খোলা হয়েছে এবং মূল্যায়ন কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে। কমিটি সর্বোচ্চ দরদাতাকে নির্বাচিত করে জানিয়ে দেবে।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের মহাপরিকল্পনার তিন বছর পর ২০২২ সালে কোনো নির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছাড়াই প্রায় ৭৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ক্যাম্পাসের পাঁচ জায়গায় ১৫টি দোকান নির্মাণ করা হয়। দীর্ঘ দুই বছরের বেশি সময় ধরে এসব দোকান ফাঁকা পড়ে ছিল।