এবার ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা কানাডার

টুইট ডেস্ক: ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের পর এবার ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ভাবছে কানাডা। দেশটির প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি বলেছেন, আসন্ন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ সম্মেলনে কানাডা আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে।

বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান মার্ক কার্নি। খবর বিবিসি’র।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির ভাষ্যমতে, এই স্বীকৃতি কিছু বিষয়ের ওপর নির্ভর করবে। সেগুলো হলো—ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষকে নিজেদের শাসন ব্যবস্থায় মৌলিক সংস্কার আনার, হামাসকে বাদ দিয়ে ২০২৬ সালে সাধারণ নির্বাচনের আয়োজন করার এবং এই ভূখণ্ডকে নিরস্ত্রীকরণের প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।

বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে মার্ক কার্নি বলেন, ফিলিস্তিনের গাজায় মানুষের দুর্দশা অসহনীয়। দ্রুত এর অবনতি হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম সম্মেলনে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে কানাডার।

এদিকে, সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে বলে কয়েক দিন আগে জানিয়েছিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ। পরে ইসরায়েল কিছু শর্ত না মানলে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার।

ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের ঘোষণার পর থেকেই মার্ক কার্নির ওপর চাপ বাড়ছিল। এরই মধ্যে গত মঙ্গলবার তাকে উদ্দেশ করে একটি চিঠি লেখেন কানাডার প্রায় ২০০ জন সাবেক রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক। তাতে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার আহ্বান জানানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়, দখলকৃত পশ্চিম তীর ও গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড কানাডার স্বার্থ ও মূল্যবোধকে ক্ষুণ্ন করেছে।

প্রসঙ্গত, জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য দেশের মধ্যে বর্তমানে প্রায় ১৫০টি দেশই আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে।