নওগাঁর রাণীনগরে শিশুর রহস্যজনক মৃ’ত্যু
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর রাণীনগরে তামান্না আক্তার (৮) নামে এক শিশুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। শিশুর মৃত্যু ঘিরে নানান জল্পনা কল্পনা চলছে। কেউ বলছে শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। আবার কেউ বলছে বালতির পানিতে পরে মারা গেছে। এঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য বুধবার সন্ধায় থানাপুলিশ শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গুয়াতা মৃধা পাড়া গ্রামে। শিশু তামান্না ওই গ্রামের প্রবাসী রাজন মৃধার মেয়ে।
শিশুর মা সানজিদা আক্তার জানান,বুধবার সকাল অনুমান ১০টা নাগাদ শিশু তামান্নাকে বাড়ীতে রেখে প্রতিবেশির বাড়ীতে যাই। এর কিছু পর বাড়ীতে এসে তামান্নাকে খুঁজে না পেয়ে প্রতিবেশিরদের বাড়ীসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজা খুজি করি। এর পর বাড়ীর মধ্যে গোসলখানায় গিয়ে দেখতে পাই প্রায় ৩০লিটার পরিমান পানি ধারণ ক্ষমতা সস্পন্ন বালতির পানির মধ্যে উপর হয়ে পরে আছে। তিনি দাবি করে বলেন,শিশুর শ্বাস কষ্ট ছিল। খেলার সময় হয়তো বালতির মধ্যে পরে মারা গেছে।
এদিকে শিশুর দাদা এরশাদ আলী দাবি করে বলেন,তামান্না স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় ২য় শ্রেনীতে পড়া লেখা করে। এত বড় শিশু বালতির পানিতে পরে ডুবে মারা যেতে পারেনা। তাকে হত্যা করা হয়েছে। এঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার দাবি করেছেন তিনি।
স্থানীয়ভাবে জানা যায়,গত ২০১৪সালে তামান্নার মা সানজিদা আক্তারের সাথে প্রতিবেশি এরশাদ আলীর ছেলে রাজনের আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে হয়। সানজিদা ওই গ্রামের সাজ্জাদ আলীর মেয়ে। এর পর ২০১৭সালে তামান্না মাতৃ গর্ভে থাকা অবস্থায় পিতা রাজন মালোয়েশিয়া চলে যান। তামান্নার জন্মের পর পারিবারিকভাবে বনিবনা না হওয়ায় গত ২০২০সালে উভয়ের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে। এর পর থেকে শিশু তামান্না মায়ের কাছেই ছিল।
এব্যাপারে রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাফিজ মো: রায়হান বলেন, এঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোট হাতে এলেই প্রকৃত কারন জানা যাবে।