বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের ‘টাইগার লাইটনিং’ মহড়া সফলভাবে সম্পন্ন
টাইগার লাইটনিং-২০২৫ মহড়ার সমাপ্তি: যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর যৌথ সামরিক মহড়ায় প্রশিক্ষণ, পারস্পরিক সহযোগিতা ও কৌশলগত সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রতিফলন।
টুইট ডেস্ক: সিলেটের জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্টে আজ বুধবার শেষ হলো বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস আর্মি প্যাসিফিক কমান্ড (USARPAC)-এর মধ্যে আয়োজিত টাইগার লাইটনিং-২০২৫ যৌথ সামরিক মহড়া।
সাত দিনব্যাপী এই মহড়ার মূল লক্ষ্য ছিল পারস্পরিক কৌশলগত সম্পর্ক জোরদার করা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে যৌথ সক্ষমতা বৃদ্ধি, এবং অপারেশনাল প্রস্তুতি উন্নয়ন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও সিলেট এরিয়া কমান্ডার এবং ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, সেনা সদর দপ্তর, এবং ইউএস আর্মির উর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এই যৌথ মহড়ায় অংশ নেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্যারা-কমান্ডো ব্রিগেডের ১০০ জন সদস্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদা ন্যাশনাল গার্ডের ৬৬ জন সদস্য।
২৪ জুলাই শুরু হওয়া এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীরা যৌথ অভিযান, দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া, সমন্বিত অভিযান পরিকল্পনা, অস্ত্র ও প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন বাস্তবভিত্তিক ও কৌশলগত প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশ নেন।
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা দীর্ঘদিনের। বিশেষ করে সন্ত্রাস দমন, মানবিক সহায়তা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় উভয় দেশ নিয়মিতভাবে অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তি আদান-প্রদান করে আসছে। টাইগার লাইটনিং মহড়া সেই সম্পর্ককে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে গেল। সামরিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই ধরনের মহড়ার মাধ্যমে সেনা সদস্যদের বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের পাশাপাশি দুটি দেশের মধ্যে সামরিক কূটনৈতিক সম্পর্কও আরও দৃঢ় হয়।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক সেনা সদস্যকে একটি করে প্রশংসাপত্র (সার্টিফিকেট) এবং স্মারক ব্যাজ প্রদান করা হয়। বক্তারা বলেন, এমন মহড়া সেনা সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস ও বোঝাপড়া বৃদ্ধিতে সহায়ক এবং ভবিষ্যতে যৌথ সংকটে তা কার্যকর প্রতিফলন ঘটাবে।
টাইগার লাইটনিং-২০২৫ মহড়া ছিল দুই দেশের মধ্যে সামরিক সম্পর্ক জোরদারের এক তাৎপর্যপূর্ণ উদ্যোগ। প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতা ও অর্জন ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ কার্যক্রমকে আরও কার্যকর করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন উপস্থিত সামরিক ও কূটনৈতিক ব্যক্তিরা।