রাজশাহীতে ইউএনওকে ধমকালেন বিএনপি নেতা, ফোনালাপের অডিও ফাঁস

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফয়সাল আহমেদকে ধমক দিয়েছেন বিএনপির এক নেতা-এমন একটি মোবাইল ফোনালাপের অডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত গোদাগাড়ীর ডাইংপাড়া গোল চত্বর থেকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত ব্যানার ও ফেস্টুন সরিয়ে ফেলার পর। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ইউএনওকে ফোন দেন রাজশাহী-১ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ইঞ্জিনিয়ার কে এম জুয়েল।

ফাঁস হওয়া ফোনালাপে শোনা যায়, জুয়েল ইউএনওকে বলেন, “পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার রিজনটা কী? জনগণ তো অনেক কিছুই বলে, আপনি পুরো উপজেলায় সব পোস্টার সরান।”
তিনি আরও বলেন, “আমি বলছি এটা লিগ্যাল রাইট নিয়ে বলতেছি। আপনি যে জায়গা থেকে পোস্টার তুলেছেন, কালই যেনো আবার লাগানো হয়। আমি ঢাকা থেকে আসছি, এসে যেনো দেখতে পাই।”

ইউএনও ফয়সাল আহমেদ শুরুতে কিছুটা চুপ থাকলেও একপর্যায়ে সংক্ষিপ্তভাবে উত্তর দেন, “ঠিক আছে, ঠিক আছে।”
এতে বিএনপি নেতা আরও কড়া সুরে বলেন, “ঠিক আছে মানে কী? অবশ্যই করবেন, না করলে আমরা যেটা করার সেটা করবো। আপনি আমার নেতার ছবি তুলেছেন!”

তিনি ইউএনওর অতীত পরিচয় নিয়েও প্রশ্ন তোলেন এবং বলেন, “নরসিংদীর বাড়ি আপনার না? আপনি কোন দলের? কার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন?”

ইউএনও’র বক্তব্য

ইউএনও ফয়সাল আহমেদ জানান, এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে পৌর প্রশাসক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে তিনি গত ৬ এপ্রিল ডাইংপাড়া মোড়ে ব্যানার, ফেস্টুন, ভ্যানগাড়ি, ফুটপাত দখলকারী দোকানসহ সবকিছু অপসারণের নির্দেশ দেন। ৭ এপ্রিলের মধ্যে সরিয়ে নিতে বলা হলেও সাড়া না পাওয়ায় পরবর্তীতে প্রশাসন পোস্টারগুলো সরিয়ে নেয়।

বিএনপি নেতার বক্তব্য

এদিকে কে এম জুয়েল জানান, “শুধু একটি নির্দিষ্ট জায়গার পোস্টার সরানো হলে তা পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ মনে হবে। যদি সরাতে হয়, তাহলে পুরো উপজেলায় সবার পোস্টারই সরানো উচিত। প্রশাসনের উচিত নিরপেক্ষতা বজায় রাখা।”