সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা মামলায় ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড ১৫ জনের যাবজ্জীবন
টুইট ডেস্ক: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় স্কুলছাত্র সুমেল আহমদ শুকুর হত্যার ঘটনায় ৭ জন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে নিহত সুমেলের পরিবার।
আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন জানান, মামলায় ৩৪ জন আসামির মধ্যে ৭ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৫ জনকে যাবজ্জীবন দিয়েছেন আদালত। বাকি ১২ জনকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস দেওয়া হয়েছে।
মামলার নথি অনুযায়ী, ২০২১ সালের ১ মে চৈতনগর গ্রামের ইব্রাহিম আলী সিজিল গংদের নিজস্ব জমিতে মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে বিরোধে জড়ায় সাইফুল ও তার লোকজন। চাউলধনী হাওর এলাকায় জমি দখলকে ঘিরে এ বিরোধের জেরে সুমেল আহমদ শুকুরের পরিবারের সদস্যদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালানো হয়। হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে শাহজালাল হাইস্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র সুমেল গুরুতর আহত হয় এবং পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয়। এছাড়া সুমেলের বাবা, চাচাসহ আরও তিনজন গুলিবিদ্ধ হন।
ঘটনার তিন দিন পর ৩ মে নিহতের চাচা ইব্রাহিম আলী সিজিল বাদী হয়ে বিশ্বনাথ থানায় ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন তৎকালীন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন ও পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন। তদন্তে গাফিলতি ও আলামত নষ্টের অভিযোগে বিশ্বনাথ থানার তৎকালীন ওসি শামিম মুসা, এসআই নূর ও এসআই ফজলুল হককে ক্লোজড করা হয়।
পরবর্তীতে ওসি (তদন্ত) রমা প্রসাদ চক্রবর্তী মামলাটির তদন্ত শেষে ৩২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলার শুনানিতে ২৩ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন। যুক্তিতর্ক শেষে আদালত এ রায় দেন। মামলার প্রধান আসামি সাইফুল বর্তমানে সাড়ে তিন বছর ধরে কারাগারে রয়েছেন। এজাহারভুক্ত আসামি মামুনুর রশীদ এখনো পলাতক।