চট্টগ্রামে দ্বিতীয় অস্ত্র কারখানা স্থাপন করছে সেনাবাহিনী
টুইট ডেস্ক: বাংলাদেশ সেনাবাহিনী চট্টগ্রামে স্থাপন করতে যাচ্ছে দেশের দ্বিতীয় অস্ত্র উৎপাদন কারখানা। এরইমধ্যে চট্টগ্রামের কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ৫৪.৯৯ একর জমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
এই কারখানাটি ভারতের সীমান্ত থেকে মাত্র ৬২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত, যা দেশের প্রতিরক্ষা কাঠামোর ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করবে।
বাংলাদেশের অস্ত্র উৎপাদন সক্ষমতা এখন পর্যন্ত মূলত গাজীপুরের শিমুলিয়া এলাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরিতে (BOF) সীমাবদ্ধ ছিল। এবার সেনাবাহিনী দ্বিতীয় কারখানা স্থাপনের মাধ্যমে প্রতিরক্ষা উৎপাদনে বিকেন্দ্রীকরণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির পথে এগোচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সরকারি ও সামরিক সূত্রে জানা গেছে, নতুন কারখানায় উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে আধুনিক অস্ত্র, গোলাবারুদ, এবং সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
সেনাবাহিনী জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে চট্টগ্রাম জেলার সীমান্তঘেঁষা একটি এলাকায়। এই কারখানা থেকে দ্রুত অস্ত্র সরবরাহ সম্ভব হবে সীমান্তবর্তী সেনানিবাস, ফাঁড়ি ও ইউনিটগুলোতে। ফলে অপারেশনাল সক্ষমতা বহুগুণে বাড়বে বলে আশা করছেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা।
সরকার ইতিমধ্যেই তুরস্কভিত্তিক প্রতিরক্ষা শিল্প প্রতিষ্ঠান REPKON এর সঙ্গে সমঝোতা স্বাক্ষর করেছে, যাতে করে বাংলাদেশে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে ১০৫ মিমি এবং ১৫৫ মিমি ক্যালিবারের আর্টিলারি শেল তৈরি করা যায়। এই প্রযুক্তির ভিত্তিতেই চট্টগ্রামের নতুন কারখানায় অস্ত্র উৎপাদন পরিচালিত হতে পারে বলে জানা গেছে।
নতুন কারখানায় থাকবে উন্নতমানের CNC মেশিন, Free Flowforming প্রযুক্তি, স্বয়ংক্রিয় পরিমাপক যন্ত্র এবং আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন নিরাপত্তা ব্যবস্থাও। এতে সেনাবাহিনীর নিজস্ব রক্ষণাবেক্ষণ ও উৎপাদন সক্ষমতা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে।
চট্টগ্রামের এই কারখানাটি শুধুমাত্র প্রতিরক্ষা খাতে নয়, বরং অর্থনৈতিক খাতেও ভূমিকা রাখবে। কারখানাটি চালু হলে প্রায় কয়েক হাজার নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং দেশীয় প্রতিরক্ষা শিল্পে প্রযুক্তি হস্তান্তর ও দক্ষতা বিকাশের পথ সুগম হবে।