নৌবাহিনীর যুদ্ধক্ষমতা বাড়াতে সুতিনের যুগান্তকারী পদক্ষেপ
সীমান্ত সংঘাতে নজর রাখছেন ‘সুতিন’, গর্বিত সেনাবাহিনীর উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পেরে
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: থাইল্যান্ডের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং ফুয়ে থাই পার্টির সংসদ সদস্য সুতিন ক্লাংসাং সম্প্রতি সীমান্ত সংঘাত ও কম্বোডিয়ার সাথে চলমান উত্তেজনাকে ঘিরে নিজের গভীর উদ্বেগ এবং গর্ব প্রকাশ করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রতিটি খবর ও ভিডিও তিনি গভীর মনোযোগ দিয়ে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং এতে তার মধ্যে দুটি আবেগ প্রবলভাবে কাজ করছে।
তিনি বলেন, “আমি চরমভাবে উদ্বিগ্ন আমাদের সীমান্তে অবস্থানরত সৈনিক ও সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা নিয়ে।” সীমান্তে গুলি বিনিময়ের এই পরিস্থিতি থাই জনগণের মাঝে ভীতি ও অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে।
সুতিন উল্লেখ করেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, যেগুলো আজ দেশের প্রতিরক্ষা শক্তি বৃদ্ধিতে মুখ্য ভূমিকা রাখছে।
বিশেষ করে তিনি যে সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছেন সেগুলো হলো-
F-16 যুদ্ধবিমানের একটি পূর্ণ স্কোয়াড্রন আপগ্রেড অনুমোদন, নতুন গ্রিপেন (Gripen) যুদ্ধবিমানের আরেকটি স্কোয়াড্রন ক্রয়ের অনুমোদন, রয়্যাল থাই নেভির জাহাজ ‘এইচটিএমএস চাং’ ও ‘এইচটিএমএস পাত্তানি’তে আধুনিক যুদ্ধ পরিচালনা ব্যবস্থাপনা (Combat Management System) স্থাপনের বাজেট অনুমোদন।
এইসব উন্নয়ন উদ্যোগ দেশকে এখন যুদ্ধ সক্ষম ও আত্মরক্ষায় প্রস্তুত করেছে বলেই তিনি মনে করেন।
নেতৃত্বে ভূমিকা
সুতিন আরও জানান, বর্তমান ২য় আঞ্চলিক কমান্ডার (แม่ทัพภาคที่ 2) এর নিয়োগে তিনিই নাম প্রস্তাব করে রাজকীয় অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছিলেন। ফলে বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি নিজেকে সেই নেতৃত্বের অংশ হিসেবেও ভাবতে পারছেন।
তিনি বলেন, “আমি একজন বেসামরিক প্রতিরক্ষামন্ত্রী হয়েও সামরিক বাহিনীকে বুঝতে পেরেছি, সমর্থন করেছি এবং সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। এটা আমার জন্য গর্বের।”