চাঁদাবাজির অভিযোগে সমালোচিত রাবির সাবেক নেতারা

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘৩৬ জুলাই: মুক্তির উৎসব’ শীর্ষক একটি কনসার্ট আয়োজনে ৭০টি প্রতিষ্ঠানের কাছে ৭৬ লাখ টাকার আর্থিক অনুদান চেয়ে চিঠি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার। আগামী ৫ আগস্ট অনুষ্ঠেয় এ উৎসবকে কেন্দ্র করে সামাজিক মাধ্যমে চিঠির কপি ছড়িয়ে পড়ায় ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীবের সুপারিশও যুক্ত রয়েছে। ইতোমধ্যে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) উৎসবটির জন্য দুই লাখ টাকা অনুদান দিয়েছে বলে জানা গেছে। তবে অনুদান প্রদানের বিষয়ে রাসিকের প্রশাসক বা সচিবের কাছ থেকে স্পষ্ট বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

চিঠিতে বলা হয়, ‘জুলাই আন্দোলনের’ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শহীদ পরিবারের সদস্য, শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও বিশিষ্টজনেরা অংশ নেবেন। উৎসবের আয়োজক হিসেবে সালাউদ্দিন আম্মার ও ‘ক্যাম্পাস বাউলিয়ানা’র পরিচালক কে এস কে হৃদয় স্বাক্ষর করেছেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও সাবেক নেতারা অভিযোগ তুলেছেন, এই অনুদান আহ্বান চাঁদাবাজির মতো এবং এতে আন্দোলনের চেতনা ব্যাহত হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী একে “ঘুরিয়ে চাঁদাবাজি” বলে আখ্যায় দেন।

সালাউদ্দিন আম্মার অবশ্য দাবি করেছেন, তারা নিয়ম মেনেই প্রস্তাবনা পাঠিয়েছেন এবং আগে বহু সংগঠন এভাবে অনুদান পেয়েছে। কে এস কে হৃদয় বলেন, স্পন্সর নেওয়া নতুন কিছু নয় এবং এটি চাঁদাবাজি নয়, বরং সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে কোম্পানিগুলো এ অনুদান দেয়।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, তিনি স্পষ্টভাবে অর্থ সহায়তা না দেওয়ার কথা বলেছিলেন এবং কেবল সাংস্কৃতিক চর্চার অংশ হিসেবে সুপারিশ করেছেন।