এনসিপির নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজি হচ্ছে : হাসনাত আব্দুল্লাহ

টুইট ডেস্ক : দলের নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজির ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘আমরা চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কথা বলি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, এনসিপির নাম ব্যবহার করে এখন চাঁদাবাজি হচ্ছে। এ ধরনের লোকদের আমাদের দলে প্রয়োজন নেই।’

সোমবার (২৮ জুলাই) বিকেলে ময়মনসিংহ টাউন হল মাঠে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। সেখানে দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে হাসনাত বলেন, ‘আমাদের লাখ লাখ নেতা-কর্মী দরকার নেই। যারা তেলবাজি ও সেলফিবাজি করছেন, তাঁদেরও দরকার নেই। আগে ঘর ঠিক করতে হবে।’

তিনি কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘প্রত্যেকটি ইউনিয়নে গিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে এনসিপির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরতে হবে। সংগঠনকে ভিত্তি থেকে শক্তিশালী করতে হবে। উৎসুক জনতা দিয়ে কিছু হবে না—ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ গড়তে জীবন দিতে প্রস্তুত থাকতে হবে।’

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, ‘জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোনো টালবাহানা বরদাশত করা হবে না।’ তিনি ময়মনসিংহে ৪১ জন শহীদের আত্মত্যাগ গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করে বলেন, ‘তাঁদের জীবন উৎসর্গের বিনিময়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ চেয়েছিলাম। কিন্তু সেই কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ এখনও পাইনি।’

তিনি অভিযোগ করেন, ‘বিগত সরকার শুধু জনগণের ক্ষতিই করেনি, নদ-নদীকেও ধ্বংস করেছে। ব্রহ্মপুত্র নদকে মেরে ফেলা হয়েছে, অবকাঠামোগত উন্নয়ন চোখে পড়ে না।’

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম রবিনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।

এ ছাড়া জুলাই পদযাত্রা বাস্তবায়ন কমিটি ময়মনসিংহের প্রধান বাস্তবায়নকারী মো. ইকরাম এলাহী খান, যুগ্ম বাস্তবায়নকারী এ টি এম মাহবুব আলম, মাহমুদুল হাসান সোহেল মোজাম্মেল, সদস্য ফুয়াদ খানসহ স্থানীয় নেতা–কর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশ শুরুর আগে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা জুলাই আন্দোলনে নিহত ও আহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এরপর শহীদ সাগর চত্বর থেকে একটি পদযাত্রা বের করা হয়।