৩ বাতির ঘরে বিদ্যুৎ বিল ১১ লাখ

  • মাত্র ৩টি লাইট আর ১ ফ্যান, তবুও ১১ লাখ টাকার বিল!
  • গ্রামবাসীর ক্ষোভ, বিদ্যুৎ অফিসের অস্বাভাবিক বিলিং ব্যবস্থায় প্রশ্ন?

টুইট ডেস্ক : গাজীপুরের শ্রীপুরে মাত্র তিনটি বিদ্যুৎ–সাশ্রয়ী বাতি আর একটি ফ্যান চালানোর জন্য প্রতি মাসে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা বিল আসে। কিন্তু গত জুন মাসে ঝালমুড়ি বিক্রেতা আবদুল মান্নানের বাড়িতে এসেছে ১০ লাখ ৯২ হাজার ৮৬৪ টাকার বিদ্যুৎ বিল!

অবিশ্বাস্য এই বিল দেখে হতবাক হয়ে পড়েন মান্নান ও তাঁর মেয়ে। তিনি শ্রীপুরের গাড়ারণ গ্রামের একজন পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহক। বাড়িতে স্ত্রী প্রবাসে থাকায় থাকেন একমাত্র মেয়েকে নিয়ে। বিলের অনুলিপি পেয়ে স্থানীয়দের পরামর্শে তিনি যোগাযোগ করেন পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে। পরে বিদ্যুৎ অফিস জানায়, একজন কর্মকর্তার ভুলে বিলের অঙ্ক বড় হয়ে গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে বিল সংশোধন করে নতুন গ্রাহক কপি সরবরাহ করা হয়।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর শ্রীপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) আনোয়ারুল আলম বলেন, ‘একজন ঝালমুড়ি বিক্রেতার বাড়ির মিটারে ১১ লাখ টাকা বিল হওয়া অস্বাভাবিক। একটি ডিজিট ভুলের কারণে এমনটি হয়েছে। সংশোধন করে বিল গ্রাহকের হাতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও জানান, এই ঘটনায় জড়িত কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে এবং গাফিলতির জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে আবদুল মান্নান অভিযোগ করেন, বিদ্যুৎ অফিসে এমন ভুল প্রায়ই হয়, আর ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ গ্রাহকেরা। এ ধরনের ভুল কমিয়ে স্বচ্ছ সেবা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি।