শিক্ষার্থী সংকটে রাজশাহীর বহু বিদ্যালয়

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের অধীন বেশ কিছু বিদ্যালয় বর্তমানে চরম শিক্ষার্থী সংকটে ভুগছে। ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় ১২টি স্কুলে পরীক্ষার্থী ছিল মাত্র ১০ জনের নিচে। এর মধ্যে কিছু স্কুলে একজন শিক্ষার্থীও অংশ নিয়েছে।

রাজশাহীর বিভিন্ন উপজেলার এসব স্কুল থেকে মোট ৭৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়, যার মধ্যে ৩০ জন ফেল করে এবং পাস করে ৪৪ জন। পাসের গড় হার ৫৯.৪৫ শতাংশ। ছাত্রীদের মধ্যে পাসের হার ৫৬.৩৬ শতাংশ, যেখানে ছাত্রদের পাসের হার ৬৮.৪২ শতাংশ।

উল্লেখযোগ্যভাবে, মোহনপুর উপজেলার ধোরসা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে এবারও একজন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয় এবং পাস করে, ফলে স্কুলটি শতভাগ পাসের তালিকায় স্থান পায়। গত বছরও একজন অংশ নিয়ে ফেল করেছিল।

অনেক স্কুলে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি যেমন কম, তেমনি শিক্ষকদের অনিয়মিত উপস্থিতি, দীর্ঘদিন এমপিওভুক্ত না হওয়া, পরিকাঠামোগত দুরবস্থা এবং বাল্যবিয়ের মতো সামাজিক সমস্যা স্কুলছুটের প্রধান কারণ হিসেবে উঠে এসেছে।

গার্লস স্কুলগুলোর অবস্থা আরও করুণ। যেমন, পাকড়ী গার্লস হাই স্কুল থেকে ৭ জনের মধ্যে ৬ জন ফেল করেছে। এমএইচ গার্লস হাই স্কুলে ৬ জনের মধ্যে ৫ জন ফেল করেছে। এরই মাঝে সায়রা খাতুন গার্লস হাই স্কুল শতভাগ পাস করেছে।

রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর আ.ন.ম. মোফাখখারুল ইসলাম বলেন, “শুধু স্কুল প্রতিষ্ঠা করলেই হবে না, মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত না হলে এর কোনো মূল্য নেই। শিক্ষার্থী সংকটে ভোগা বিদ্যালয়গুলোর স্বীকৃতি নবায়ন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে।”

স্থানীয় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মতে, বাল্যবিয়ে, অর্থনৈতিক দুরবস্থা, শিক্ষক সংকট এবং শহরমুখী প্রবণতা শিক্ষার এই সংকটের মূল কারণ।