অ/স্ত্র-গু/লিসহ ডাকাত ও স/ন্ত্রাসী চক্র ধরা পড়ল সেনা অভিযানে
- মাদারীপুর ও ঝিনাইদহে সেনাবাহিনীর পৃথক সফল অভিযান
- অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ ৯ জন গ্রেফতার, উদ্ধার পিস্তল-রাইফেল-মোটরসাইকেল
টুইট ডেস্ক: বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে পরিচালিত পৃথক দুইটি সফল অভিযানে মাদারীপুর ও ঝিনাইদহ জেলায় অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ, দেশীয় অস্ত্র ও মোটরসাইকেলসহ মোট ৯ জন অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুটি অভিযানই পরিচালিত হয় বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) গভীর রাতে।
প্রথম অভিযানটি পরিচালিত হয় মাদারীপুর সদর উপজেলার শিড়খাড়া ইউনিয়নের ঘুনসি এলাকায়। রাত আনুমানিক ৩টার দিকে সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী এই অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানে ১টি ৭.৬৫ মি.মি. পিস্তল, ১টি ম্যাগাজিন, ৫ রাউন্ড গুলি, ১টি .৩০৩ কাটা রাইফেল, ১টি এয়ারগান, ১২০ রাউন্ড এয়ারগানের গুলি এবং বিভিন্ন ধরনের দেশীয় ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
এই অভিযানে গ্রেফতার হন ছয় জন। মিলন সব্যসাচী (৫৪), কামাল মাতাব্বর (৫৩), খাদিজা (২৩), লাকি বেগম (৪৫), পারুল (৪৫) এবং মনু মাতাব্বর (৫০)। সেনাবাহিনী সূত্র জানায়, এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও অস্ত্র বাণিজ্যে জড়িত ছিল।
অন্যদিকে রাত ১টার দিকে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার টেকরা বাজার এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে তিনজন ব্যক্তি এলাকাবাসীর হাতে আটক হন।
সাইফুল ইসলাম পাভেল (৩৬), সবেদ আলী মোল্লা (৫৫) এবং মোহাম্মদ আলী রাজ শেখ (২১) নামের ওই তিনজনকে গণপিটুনি দেওয়া হয়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ টহলদল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং তিনজনকে গ্রেফতার করে।
অভিযানে ২টি বিদেশি পিস্তল, ২টি ম্যাগাজিন, ৮ রাউন্ড গুলি এবং ২টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। গণপিটুনিতে গুরুতর আহত ডাকাত দলের সদস্য সাইফুল ইসলামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জরুরি ভিত্তিতে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জানিয়েছে, দেশের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী সবসময় সচেষ্ট এবং যেকোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের তথ্য পেলে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্প বা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানাতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আবারও প্রমাণ করেছে— দেশের নিরাপত্তা রক্ষায় তারা সর্বদা প্রস্তুত, সজাগ ও দক্ষ। মাদারীপুর ও ঝিনাইদহে রাতভর চালানো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অভিযানে যে পেশাদারিত্ব, সাহস ও নিষ্ঠা তারা প্রদর্শন করেছে, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য।
অস্ত্র, গোলাবারুদ ও সশস্ত্র অপরাধীদের গ্রেফতার করে তারা শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করেনি, জনগণের মনে আস্থা ও নিরাপত্তা ফিরিয়ে এনেছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতির গর্ব। তাদের প্রতিটি পদক্ষেপে আমরা নিরাপদ, সুরক্ষিত ও আশ্বস্ত।