পদ্মার বালু লুটে জড়িত ছাত্রদল নেতা, বাধা দেওয়ায় গুলিবর্ষণ
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর ছাত্রদল নেতা শামীম সরকারের বিরুদ্ধে পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের পদ্মা তীর থেকে অবৈধভাবে বালু তুলতে বাধা দিলে স্থানীয়দের ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনাও ঘটেছে বলে অভিযোগ।
এ ঘটনায় ভেড়ামারা থানায় দায়ের করা মামলায় শামীম সরকারসহ নয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার বাদী ফয়জুল্লাহপুর গ্রামের বাসিন্দা কামরুল গাইন (৫৮)। তিনি জানান, গত ৫ জুলাই বালু উত্তোলনে বাধা দিলে সশস্ত্র গোষ্ঠী গুলি চালায়। ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পর ১১ জুলাই থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
তবে পুলিশ বলছে, অভিযুক্তদের এখনো গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রেজাউল হক জানান, ঘটনার সত্যতা আছে। আমরা আসামিদের ধরার চেষ্টা করছি, তবে তারা পলাতক।
অথচ ঘটনার প্রায় দুই সপ্তাহ পরও ছাত্রদল নেতা শামীম সরকার প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ২৩ জুলাই সকালে তিনি রাজশাহী বিমানবন্দরে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসিরকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান এবং সেই ছবিও সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেন।
শামীম সরকারের বাড়ি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার সবেরহাট বামনডাঙ্গা গ্রামে। মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন—বেল্লাল, মুন্তাজ মন্ডল, টুটুল মন্ডল, লাভলু, সামিউল ইসলাম, চঞ্চল ও সোহেল কারি। এদের অনেকে মাদক ও সাইবার অপরাধের সঙ্গেও জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা বাঘার চর আলাইপুর এলাকায় ইজারা নেওয়া বালুমহাল ছেড়ে কুষ্টিয়ার মরিচা ইউনিয়ন এলাকা থেকে জোরপূর্বক বালু উত্তোলন করছিলেন। এর ফলে জুনিয়াদহ ফয়জুল্লাহপুর এলাকায় নদীভাঙনের আশঙ্কা দেখা দেয়। স্থানীয়রা বারবার নিষেধ করলেও তারা থামেনি। বরং বাধা দেওয়ায় সন্ত্রাসী কায়দায় গুলিবর্ষণ করা হয়।
সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীর দাবি, অবৈধ বালু ব্যবসার সঙ্গে রাজনৈতিক প্রভাবশালী ও সন্ত্রাসী চক্র জড়িত থাকায় প্রশাসনের পদক্ষেপ ধীরগতির। অভিযোগ রয়েছে, প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় তারা বছরের পর বছর বালু লুট করে আসছে।
তদন্ত শেষ না হলেও স্থানীয়দের প্রশ্ন প্রকাশ্যে থাকা আসামি ধরা যাচ্ছে না কেন?