ক্ষতিকর প্রক্রিয়াজাত খাবারে আসক্ত ১২ শতাংশ শিশু
নিজস্ব প্রতিবেদক : ক্ষতিকর স্বত্ত্বেও অতি প্রক্রিয়াজাত খাবারে আসক্ত হচ্ছে শিশুসহ প্রাপ্তবয়স্করা। সম্প্রতি ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, আইসক্রিম, কোল্ড ড্রিংকস, পিৎজ্জার মতো খাবারে অতি মাত্রার শর্করা ও চর্বি থাকে। যা নিকোটিন ও অ্যালকোহলের মতো আসক্তি তৈরি করে।
এরইমধ্যে বিশ্বের ১৪ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক ও ১২ শতাংশ শিশু ক্ষতিকর এসব খাবারে আসক্ত বলে উঠে এসেছে গবেষণা প্রতিবেদনে।
দিনে একটার বেশি চকলেট নয়, বাবার কড়া নিষেধ স্বত্ত্বেও লোভ সামলাতে পারেনি ৫ বছরের লায়লা। চুপি চুপি খেয়ে নিলো অনেকগুলো চকলেট। পরে খাবে বলে বাকিটা লুকিয়ে রাখলো।
পঞ্চাশোর্ধ কিমবার্লি- আইসক্রিম ছাড়া আর কিছইু খান না বললেই চলে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ৪০টি আইসক্রিম লাগে। মাসে ১ হাজার, বছরে প্রায় ১০ হাজার। আসক্তি দূর করতে সাইকোথেরাপিস্টের কাছেও যেতে হয় তাকে।
আইসক্রিম, চকলেট, কোল্ড ড্রিংকসসহ ফ্রিজিং করা প্যাকেটজাত অতি প্রক্রিয়াজাত খাবারে এভাবেই আসক্ত হচ্ছে সব বয়েসীরা। ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে- ৩৬ দেশের মানুষের ওপর গবেষণা চালিয়ে খাবারে আসক্তি বাড়ার চিত্র তুলে ধরেন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল ও স্পেনের গবেষকরা।
তাদের গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বে ৭ জনের মধ্যে ১ জন প্রাপ্তবয়স্ক এবং প্রতি ১২টি শিশুর মধ্যে ১টি শিশু এরইমধ্যে ক্ষতিকর এসব খাবারে আসক্ত।
অতি প্রক্রিয়াজাত খাবারে থাকা উচ্চ মাত্রার শর্করা ও চর্বি- নিকোটিন ও অ্যালকোহলের মতোই মস্তিকে ডোপামিন নির্গত করে। ফলে ওইসব খাবারের প্রতি তীব্র আকাঙ্খা তৈরি হয়। ফলাফল- উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, ক্যান্সার, মুটিয়ে যাওয়ার মতো রোগের ঝুঁকি।
এই ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৩৫ সাল নাগাদ বিশ্বের অর্ধেক মানুষ স্থুলতা এবং ২০৫০ সাল নাগাদ ১৩০ কোটি মানুষ ডায়াবেটিসে ভুগবে। অতি প্রক্রিয়াজাত খাবারকে এখনই ‘আসক্তিমূলক’ অ্যাখ্যা দিয়ে বিক্রি বন্ধের পরামর্শ গবেষকদের।