উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠনের জোর দাবি: হাসনাত আব্দুল্লাহর যুক্তি
- হাসনাত আব্দুল্লাহর যুক্তি সময়োচিত
- উত্তরবঙ্গকে অবহেলা করা চলবে না, উপদেষ্টা পরিষদে অন্তর্ভুক্তির জোর দাবি
টুইট প্রতিবেদন: চলমান গণআন্দোলনের প্রেক্ষাপটে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে যে আশা-আকাঙ্ক্ষা উঠে এসেছে, তার যথাযথ প্রতিফলন ঘটানো এখন সময়ের বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে—কারণ উপদেষ্টা পরিষদ গঠনে এই জনবহুল ও রাজনীতিসচেতন অঞ্চলটি উপেক্ষিত হয়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন।
উত্তরবঙ্গের দাবি: আমাদের কণ্ঠস্বর চাই
উত্তরবঙ্গের একাধিক নাগরিক সংগঠন, পেশাজীবী ও ছাত্রনেতারা বলছেন, “উত্তরবঙ্গ সবসময় জাতীয় রাজনীতিতে ভূমিকা রেখেছে। অথচ আজ সেই জনপদের প্রতিনিধিত্ব উপদেষ্টা পরিষদে নেই। এটা মানা যায় না।”
একজন তরুণ আন্দোলনকারী বলেন, “যদি আমরা একসাথে আন্দোলন করি, তবে সিদ্ধান্তেও সমান অধিকার চাই। উত্তরবঙ্গ থেকে কমপক্ষে তিনজন উপদেষ্টা নিয়োগ দিতে হবে—এটাই জনতার দাবি।”
উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠনের জোর দাবি
উত্তরবঙ্গ ছাড়াও সারা দেশেই জনসম্পৃক্ত ও দক্ষ নেতৃত্বের অভাব নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। সুশীল সমাজ মনে করছে, যেকোনো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তার আস্থার ভিত্তি হারিয়ে ফেললে আন্দোলন দুর্বল হয়ে পড়ে। সেক্ষেত্রে সময় এসেছে একটি বস্তুনিষ্ঠ, জনআকাঙ্ক্ষানির্ভর ও প্রতিনিধিত্বমূলক উপদেষ্টা পরিষদ গঠনের।
হাসনাত আব্দুল্লাহর যুক্তি সময়োচিত
হাসনাত আব্দুল্লাহর সাম্প্রতিক বক্তব্যে সেই বাস্তবতা উঠে এসেছে। তিনি বলেন, “অযোগ্যদের বাদ দিয়ে একটি নতুন, দক্ষ ও জনপ্রতিনিধিত্বশীল উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করতে হবে। না হলে গণআন্দোলন মুখ থুবড়ে পড়বে।”
এই মন্তব্যে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই বলছেন, এটি কেবল রাজনৈতিক বক্তব্য নয়, বরং সময়ের ডাক।
উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন ও উত্তরবঙ্গ থেকে যোগ্য প্রতিনিধি নিয়োগ এখন সময়ের দাবি। এই অঞ্চল দীর্ঘদিন অবহেলিত থেকেছে—এবার আর তা চলতে দেওয়া যাবে না।
দেশের সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ ও আস্থার ভিত্তিতেই গণআন্দোলন সফল হবে।