গাজায় অনাহারে একদিনেই ১৫ জনের মৃ’ত্যু

টুইট ডেস্ক: ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ভয়াবহ খাদ্যসংকটের কারণে মাত্র একদিনেই প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৫ জন। মঙ্গলবার অনাহারে মারা যাওয়া এই মানুষদের মধ্যে অন্তত চারজনই শিশু। খবর আল জাজিরা ও রয়টার্সের।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে রয়েছে মাত্র ছয় সপ্তাহ বয়সী ইউসুফ আবু জাহির। শিশুটির চাচা আদহাম আল-সাফাদি বলেন, ‘বাজারে দুধ নেই। পাওয়া গেলেও এক কৌটা দুধের দাম ১০০ ডলার পর্যন্ত।’

একই দিনে মারা যাওয়া অন্য শিশুদের একজন ১৩ বছর বয়সী আব্দুলহামিদ আল-ঘালবান। তিনি খান ইউনিসের একটি হাসপাতালে মারা যান।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, ইসরাইলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকে গাজায় অপুষ্টি ও অনাহারে অন্তত ১০১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ৮০ জনই শিশু। বেশির ভাগ মৃত্যু সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতেই ঘটেছে।

২০২৩ সালের মার্চে ইসরাইল গাজায় পণ্য সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করে দিলে খাদ্য মজুত শেষ হয়ে যায়। পরে মে মাসে সীমিত আকারে সহায়তা ঢুকতে দেওয়া হলেও তা বিতরণ করা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)-এর মাধ্যমে। এই সহায়তা বণ্টনে জাতিসংঘকে কোনো ভূমিকা রাখার সুযোগ দেওয়া হয়নি।

জাতিসংঘ মানবাধিকার দপ্তর জানিয়েছে, সহায়তা নিতে আসা সাধারণ মানুষের ওপর গুলি চালিয়ে মে মাসের পর থেকে এক হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে।

ইউএনআরডব্লিউএ প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেন, জিএইচএফ পরিচালিত বিতরণব্যবস্থা আসলে ‘নৃশংস মৃত্যুফাঁদ’, যেখানে সাহায্যের জন্য আসা মানুষদের নির্বিচারে গুলি করে মারা হচ্ছে।

এদিকে ইসরাইল দাবি করেছে, সহায়তা হামাসের হাতে চলে যাচ্ছে। তবে এ দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি। জিএইচএফও জাতিসংঘের তথ্যকে ‘অতিরঞ্জিত ও ভুল’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে।

ক্ষুধা ও সহিংসতার ভয়াল ছোবলে গাজায় মানবিক বিপর্যয় প্রতিদিনই আরও গভীর হচ্ছে।