JF-17 Thunder-এ গর্জন তুললো পাকিস্তান
- যুক্তরাজ্যে সফল অংশগ্রহণ শেষে ফিরলো পাকিস্তান বিমান বাহিনী
- রয়্যাল ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্যাটু (RIAT) ২০২৫-এ নজর কাড়লো পাকিস্তান
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাজ্যের গ্লস্টারশায়ারের আরএএফ ফেয়ারফোর্ড (RAF Fairford) বিমান ঘাঁটি থেকে ২২ জুলাই সকালে সফলভাবে রওনা হয় পাকিস্তান বিমান বাহিনীর একটি বহর। তারা অংশ নিয়েছিল বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ও মর্যাদাসম্পন্ন সামরিক বিমান প্রদর্শনী Royal International Air Tattoo (RIAT) ২০২৫-এ।
পাকিস্তান বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে অংশ নেয় চারটি বিমান—দুটি JF-17 Thunder Block III যুদ্ধবিমান, একটি C-130 পরিবহন বিমান এবং একটি IL-78 ট্যাঙ্কার। এই বিমানগুলো RIAT-এ তাদের উপস্থিতি ও কৌশল প্রদর্শনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী সামরিক বিশ্লেষক ও দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
JF-17 Thunder Block III বিমান দুটি ছিল মূল আকর্ষণ। পাকিস্তান ও চীনের যৌথভাবে নির্মিত এই হালকা যুদ্ধবিমান আধুনিক অস্ত্রসজ্জা, সক্রিয় রাডার এবং উন্নত অ্যাভিওনিক্সের জন্য পরিচিত। RIAT-এ তাদের প্রদর্শিত কৌশলী উড়ান ও উচ্চগতির ফ্লাইপাস্ট দর্শকদের ব্যাপকভাবে মুগ্ধ করে।
C-130 Hercules এবং IL-78 Aerial Refueling Tanker-এর যৌথ মহড়াও ছিল চোখে পড়ার মতো। পাকিস্তান বিমান বাহিনীর এই অংশগ্রহণ কেবল সামরিক সক্ষমতা নয়, বরং কৌশলগত সংগঠনের দিক থেকেও উচ্চ মানের প্রতিফলন ঘটিয়েছে।
RIAT ২০২৫ হলো একটি আন্তর্জাতিক সামরিক উড়ান প্রদর্শনী, যেখানে বিশ্বের ৫০টিরও বেশি দেশের বিমান বাহিনী অংশগ্রহণ করে। এ বছর পাকিস্তান বিমান বাহিনীর উপস্থিতি ছিল বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয়, কারণ এটি ছিল JF-17 Thunder Block III-এর আন্তর্জাতিক মঞ্চে অন্যতম বড় প্রদর্শনী।
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ISPR এক বিবৃতিতে জানায়, “এই অংশগ্রহণ আমাদের আত্মবিশ্বাস, পেশাদারিত্ব এবং প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতার প্রতীক। এটি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের বার্তা বহন করে।”
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে #RIAT25, #PAF, #Marka_e_Haq হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে পাকিস্তানের নাগরিকরা এই অংশগ্রহণকে ‘ন্যায়ের প্রতীক’ এবং ‘জাতীয় গৌরব’ হিসেবে উল্লেখ করছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা পাকিস্তানের বিমান দক্ষতার প্রশংসা করেছেন।
২২ জুলাই সকালে RAF Fairford থেকে যাত্রা করে পাকিস্তানে ফিরছে বিমানগুলো। ফিরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই তাদের অভিনন্দন বার্তা পাঠান পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
এই সফল আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণ দেশটির সামরিক মর্যাদা ও কূটনৈতিক অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করেছে।