মাইলস্টোনে অবরুদ্ধ দুই উপদেষ্টাকে উদ্ধার
মাইলস্টোনে অবরুদ্ধ দুই উপদেষ্টাকে উদ্ধার — উত্তেজনার মধ্যে শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ ঘেরাও অব্যাহত
টুইটন ডেস্ক: রাজধানীর উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে আজ দুপুরের পর শিক্ষার্থীদের ঘেরাওয়ের মুখে অবরুদ্ধ থাকা শিক্ষা উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এবং শিক্ষা পরামর্শক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি. আর. আবরার)-কে উদ্ধার করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের তীব্র বিক্ষোভ ও স্লোগানের মুখে তারা দীর্ঘ সময় ধরে কলেজ ভবনে অবরুদ্ধ ছিলেন।
ঘটনার শুরু
সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে উপদেষ্টা দল ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তাঁদের ঘিরে ধরে।
তাদের অভিযোগ ছিল—“তারা দায় স্বীকার না করে এসেছেন প্রতিক্রিয়া দিতে, প্রতিকার দিতে নয়।”
এই সময় আশপাশ থেকে স্লোগান ওঠে—“ভুয়া দায়িত্ব নয়, সত্য চাই”, “Zen Z লুকোচুরি পছন্দ করে না”।
উপদেষ্টারা কলেজের ‘৫ নম্বর ভবনে’ আশ্রয় নেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, তবে কোনো সহিংসতা ঘটেনি।
উদ্ধার অভিযান
দুপুর ১টা ৩০ মিনিট থেকে কলেজ কর্তৃপক্ষ, শিক্ষকমণ্ডলী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে ‘শান্তিপূর্ণ মধ্যস্থতা ও হিউম্যান চেইন’ তৈরি করে উপদেষ্টাদের ধাপে ধাপে ভবন থেকে বের করে আনা হয় বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে।
পুলিশ বলপ্রয়োগ না করে নিরাপত্তা বলয়ে রেখে দুই উপদেষ্টাকে একটি কালো মাইক্রোবাসে করে বের করে নিয়ে যায়। শিক্ষার্থীরা এসময় উত্তেজিত থাকলেও কোনোরূপ ভাঙচুর বা আক্রমণ চালায়নি।
শিক্ষার্থীদের অবস্থান
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে—“উদ্ধার হতেই পারে, কিন্তু আমরা আমাদের এক দফা দাবি থেকে সরবো না। সেটা হলো— শিক্ষা উপদেষ্টা ও সচিবের পদত্যাগ।”
তারা বলেছে,
“দায়িত্বশীল না হলে পদে থাকার কোনো অধিকার নেই। ছয় দফা এখন এক দফা—এটাই আমাদের চূড়ান্ত কথা।”
এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে, তবে তারা বলপ্রয়োগ না করে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।
অভিভাবক ও শিক্ষক প্রতিনিধিরা শিক্ষার্থীদের শান্ত রাখার আহ্বান জানাচ্ছেন।
বিভিন্ন মানবাধিকার ও শিক্ষানীতিবিদরা বলছেন, “তরুণদের প্রশ্ন থামিয়ে রাখা নয়—তাদের উত্তর দিতে শিখুক রাষ্ট্র”।
সর্বশেষ পরিস্থিতি (প্রকাশকালীন সময় অনুযায়ী)
উপদেষ্টারা নিরাপদে এলাকা ত্যাগ করেছেন।
এদিকে শিক্ষার্থীরা এখনো শিক্ষা ভবন, সচিবালয় ও কলেজ মোড় ঘেরাও করে রেখেছে। বিকাল ৪টার দিকে শত শত ছাত্রজনতা সচিবালয়ের গেট ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করেছেন।
আগামীকাল আবারও নতুন কর্মসূচি ঘোষণার প্রস্তুতি চলছে।