বন্যা প্রতিরোধী করেই গাজার টানেলগুলো তৈরি করা হয়েছে : হামাস
বিশ্ব ডেস্ক : গতকাল (বৃহস্পতিবার) বৈরুতে স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের মুখপাত্র ওসামা হামদান দাবি করেছেন, গাজায় ইসরায়েলের টানেল ধ্বংসের জন্য একটি নতুন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী, তেল আবিব একাধিক পাম্পের সাহায্যে সাগরের পানি দিয়ে টানেলগুলো ভাসিয়ে দিতে চাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা এই পদক্ষেপের মাধ্যমে টানেল ধ্বংস হবে এবং হামাসের যোদ্ধারা টানেল থেকে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হবে, তবে এটি গাজায় পানি সরবরাহ ব্যবস্থাকে ঝুঁকিতে ফেলবে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) গত মাসে উত্তর গাজার আল-শাতি শরণার্থী শিবির থেকে প্রায় এক মাইল উত্তরে পাঁচটি পাম্প জড়ো করেছে। প্রতিটি পাম্পই ভূমধ্যসাগর থেকে পানি উত্তোলন এবং ঘণ্টায় কয়েক হাজার ঘন মিটার পানি প্রবাহিত করতে সক্ষম। এটি সকল টানেলকে ভাসিয়ে দিতে পারে এবং ইসরায়েলি বাহিনী তার প্রতিরোধের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে এটি ব্যবহার করতে পারে।
ইসরায়েলি বাহিনী এ পর্যন্ত ৮০০টি টানেল চিহ্নিত করেছে, তবে হামাসের টানেল নেটওয়ার্ক এর চেয়েও অনেক বড় হতে পারে। আইডিএফ কর্মকর্তারা জানান, গত মাসের শুরুর দিকে ইসরায়েল এই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রকে। এটি বাস্তবায়নের সম্ভাব্যতা ও সামরিক কার্যকারিতার বিপরীতে এর পরিবেশগত প্রতিক্রিয়া নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
তেল আবিবের এমন পরিকল্পনার জবাবে হামদান বলেন, “টানেলগুলি দক্ষ ও শিক্ষিত ইঞ্জিনিয়ারদের দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। এগুলো প্রতিরো
ধের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। যেগুলো বন্যায় ভাসিয়ে ফেলা থেকে শুরু করে সম্ভাব্য সকল ধরনের আক্রমণের কথা বিবেচনা করে তৈরি করা হয়েছে।”
ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ১৮ হাজার ৬০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং তাদের মধ্যে বেশিরভাগ নারী ও শিশু। এছাড়া, গাজায় উপত্যকার প্রায় ২৩ লাখ বাসিন্দা প্রায় ৮০ ভাগই বাস্তুচ্যুত হয়েছে, যাদের মধ্যে অধিকাংশ বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়ে মানবিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হচ্ছেন।
তেল আবিব গাজার বেসামরিক নাগরিকদের ওপর এতটা নির্মমভাবে বিমান হামলা চালাচ্ছে যে, জাতিসংঘের কর্মকর্তারা এটিকে ‘পৃথিবীর মধ্যে জাহান্নাম’ বলে অভিহিত করেছেন। একইসাথে উপত্যকাটিতে খাদ্য, জ্বালানি, পানি ও বিদ্যুতের প্রবেশাধিকারও কঠোরভাবে সীমিত করেছে দেশটি।