ডিসেম্বরে বাংলাদেশের নিট রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা ১৭.৭৮ বিলিয়ন ডলার করল আইএমএফ
অর্থ ডেস্ক : আইএমএফ বলেছে, ডিসেম্বরে বাংলাদেশের নিট রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা মোট ১৭.৭৮ বিলিয়ন ডলার করেছে। এটি এক প্রস্তাবনা হিসেবে অক্টোবরের ১৫.৯ বিলিয়ন ডলার থেকে কমিয়ে এসেছে।
ডিসেম্বরের জন্য বৈদেশিক মুদ্রার নিট রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা আগের ২৬.৮ বিলিয়ন ডলার থেকে কমিয়ে ১৭.৭৮ বিলিয়ন নির্ধারণ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
আজ (১৫ ডিসেম্বর) প্রকাশিত প্রথম রিভিউ প্রতিবেদনে ৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ প্যাকেজের আওতায় রিজার্ভের অর্জনের এই নতুন শর্ত দিয়েছে আইএমএফ। আইএমএফ আরও জানিয়েছে, অক্টোবরে দেশের নিট রিজার্ভ ছিল ১৫.৯ বিলিয়ন ডলার, আর গ্রস রিজার্ভ ছিল ২০.৩ বিলিয়ন ডলার।
জুনের নিট রিজার্ভ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আইএমএফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুনে ২৩.৭ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে নিট রিজার্ভ ছিল ১৯.৫ বিলিয়ন ডলার।
ঋণ প্যাকেজের পরবর্তী কিস্তি ছাড়ের শর্ত হিসেবে আইএমএফ নিট রিজার্ভ সিলিং ঠিক করে দিলেও বাংলাদেশ ব্যাংক সে তথ্য প্রকাশ করে না।
দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে পাঠানো সাম্প্রতিক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক দাবি করেছে যে প্রকাশিত ১৫.৯ বিলিয়ন ডলারের নিট রিজার্ভের তথ্যটি বিভ্রান্তিকর। কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরও দাবি করে যে বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে দেশের রিজার্ভ ছিল ১৯ বিলিয়ন ডলার, যার পুরোটাই ব্যবহারযোগ্য।
আইএমএফের মানদণ্ড অনুযায়ী, শুধু নিট রিজার্ভ অংশই তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবহার করা যায়। এ কারণেই বহুপাক্ষিক ঋণদাতা সংস্থাটি ঋণের পরবর্তী কিস্তিগুলো ছাড় করার জন্য নিট রিজার্ভের জন্য একটি লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দেয়।
রিভিউ প্রতিবেদন অনুসারে, দেশের চলতি হিসাবের ঘাটতি যথেষ্ট সংকুচিত হয়েছে।
ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি ও বড় অর্থনীতিগুলোর ক্রমাগত আর্থিক কঠোরতার মধ্যে অন্যান্য ছোট উন্মুক্ত অর্থনীতির মতোই বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার বাজারেও বড় উত্থান-পতন হয়েছে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ ব্যাংক বিনিময় হারকে আরও নমনীয় করেছে, বিদ্যমান বিনিময় হারগুলোকে একীভূত করেছে এবং আর্থিক নীতি কঠোর করেছে।
২০২২-২৩ অর্থবছরে মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার ১৫.২ শতাংশ অবমূল্যায়ন হয়েছে।
আমদানি সংকোচন এবং তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী রপ্তানির কারণে চলতি হিসাবের ঘাটতি অনেকটাই কমেছে (২০২১-২২ অর্থবছরে ছিল জিডিপির ৪.১ শতাংশ, ২০২২-২৩ অর্থবছরে হয়েছে জিডিপির ০.৭ শতাংশ)।