প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তাজউদ্দীন পরিবারের সৌজন্য সাক্ষাৎ
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানাতে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন তাজউদ্দীন পরিবারের সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সকালে রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন তাজউদ্দীন আহমদের জ্যেষ্ঠ কন্যা লেখক ও গবেষক শারমিন আহমদ এবং পুত্র সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ। তাঁরা প্রধান উপদেষ্টার হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে জন্ম শতবার্ষিকী অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র তুলে দেন।
সাক্ষাৎকালে শারমিন আহমদ তাঁর লেখা বিখ্যাত গ্রন্থ “তাজউদ্দীন আহমদ: নেতা ও পিতা” বইটির একটি স্বাক্ষরিত কপি উপহার হিসেবে প্রধান উপদেষ্টাকে প্রদান করেন। বইটি দেশের ইতিহাসপ্রেমী ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কাছে একজন আদর্শ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে তাজউদ্দীন আহমদকে উপলব্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই সৌজন্য সাক্ষাতে তাজউদ্দীন আহমদের অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন এবং জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের আশ্বাস দেন।
তিনি বলেন, “তাজউদ্দীন আহমদ কেবল একজন রাজনীতিক নন, তিনি ছিলেন নীতির মানুষ, যার চিন্তা ও নেতৃত্বের জন্যই আজ আমরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি।”
তাজউদ্দীন আহমদ ছিলেন মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশ সরকারের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে ১৯৭১ সালে তিনি রাজনৈতিক ও প্রশাসনিকভাবে যুদ্ধ পরিচালনায় নেতৃত্ব দেন। তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং নিষ্ঠাবান আদর্শ আজও রাজনীতিতে অনুকরণীয়।
তাঁর জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে নানা আয়োজনে স্মরণ করা হচ্ছে এই মহান নেতাকে। দেশের গৌরবময় ইতিহাস ও নেতৃত্বে নৈতিকতার মূল্যবোধ ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে এই আয়োজন বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে।
তাজউদ্দীন পরিবারের এই সৌজন্য সাক্ষাৎ একদিকে যেমন একটি ঐতিহাসিক মূল্য বহন করে, অন্যদিকে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে দেশপ্রেম, নৈতিকতা ও নেতৃত্বের উদাহরণ হিসেবেও তুলে ধরছে তাজউদ্দীন আহমদকে।