আবু সাঈদ: জুলাইয়ের বীরশ্রেষ্ঠ

আবু সাঈদের হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিত: ফরেনসিক বিশ্লেষণে চাঞ্চল্যকর তথ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক:।জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সাহসী মুখ আবু সাঈদের মৃত্যু যে নিছক দুর্ঘটনা নয়, বরং পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড—তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে সাম্প্রতিক ফরেনসিক বিশ্লেষণে।

বিশ্লেষণে দু’টি বিষয় স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে;

১. পুলিশ সরাসরি টার্গেট করে আবু সাঈদকে প্রাণঘাতী অস্ত্র দিয়ে গুলি করেছে।

২. গুলির পর তাকে হাসপাতালে নিতে দেরি করা হয়নি, কিন্তু যেভাবে গুলি করা হয়েছিল, তাতে তার বেঁচে থাকার কোনো সম্ভাবনাই ছিল না।

বিশ্লেষকদের মতে, গুলির কৌশল, অবস্থান এবং অস্ত্রের ব্যবহার স্পষ্টভাবে নির্দেশ করে যে এটি একটি ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড ছিল।

এই রিপোর্ট দেখে অনেকের মতো একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “আবু সাঈদ বুঝে শুনেই ঝুঁকি নিয়েছিলেন। তিনি জানতেন, প্রতিবাদের পথটা জীবনের নিশ্চয়তা দেয় না—তবুও তিনি মুখ খুলেছিলেন, দাঁড়িয়েছিলেন।”

১৬ জুলাই ২০২৪ রংপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ও আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু সাঈদ। ছবি : তথ্য মন্ত্রণালয়

আবু সাঈদের এই আত্মত্যাগকে অনেকে বলছেন “জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বীরশ্রেষ্ঠ”। সামাজিক মাধ্যমে ইতোমধ্যেই এই দাবি ছড়িয়ে পড়েছে।

স্বাধীনচেতা যুব সমাজ ও বিরোধীদলগুলোর দাবি, আবু সাঈদের হত্যার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে, আর যারা নির্দেশ দিয়েছিল সেই প্রশাসনিক-রাজনৈতিক চক্রকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

আবু সাঈদের মৃত্যু শুধুই একজনের জীবন হারানো নয়, বরং এটি প্রতিরোধের এক অমর প্রতীক। তার সাহস, আত্মত্যাগ এবং প্রতিবাদ যেন নতুন প্রজন্মের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে—এমনটাই প্রত্যাশা দেশের সচেতন নাগরিকদের।

TweetNews24 | সাহসী সাংবাদিকতার পথচলা