৩২ হাজার প্রধান শিক্ষক নিয়োগে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ
৩২ হাজার প্রধান শিক্ষক নিয়োগে জরুরি নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা — ৩০ দিনের মধ্যে রোডম্যাপ চাইলেন
টুইট ডেস্ক: অস্থায়ী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুস দেশের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে ৩২ হাজার প্রধান শিক্ষক নিয়োগে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আজ সচিবালয়ে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে তিনি এই নির্দেশনা দেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের শিশুদের মানসম্পন্ন শিক্ষা দিতে হলে প্রথমেই স্কুল ব্যবস্থাপনায় স্থিতিশীলতা আনতে হবে। দীর্ঘদিন ধরে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে, যা শিক্ষার গুণগত মানে প্রভাব ফেলছে।”
বর্তমানে দেশের প্রায় ৩২ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য, যা মোট বিদ্যালয়ের এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি। এ অবস্থায় প্রশাসনিক কার্যক্রমে ধীরগতি এবং শিক্ষার্থীদের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষা ও প্রাথমিক গণশিক্ষা উপদেষ্টা ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফজলে হোসেন, বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, বিভিন্ন বিভাগের সিনিয়র সচিব ও কর্মকর্তারা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “প্রধান শিক্ষক ছাড়া একটি বিদ্যালয় শিশুদের নৈতিক ও মানসিক বিকাশে পিছিয়ে পড়ে। আমাদের সরকার তরুণ প্রজন্মকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করতে চায়। এই নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে হবে।”
তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে একসাথে সমন্বিত পরিকল্পনা করে ৩০ দিনের মধ্যে সুস্পষ্ট রোডম্যাপ উপস্থাপন করতে বলেন।
সূত্র জানায়, ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত এক নিয়োগ পরীক্ষার ফল এখনো প্রকাশিত হয়নি নানা মামলাজট ও প্রশাসনিক জটিলতার কারণে। বহু প্রার্থী এখনো অপেক্ষায় রয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আইন অনুযায়ী আদালতের নির্দেশ মানতে হবে, তবে সরকারের সদিচ্ছার ঘাটতি থাকা চলবে না। প্রয়োজনে অস্থায়ী সমাধানের পথও খুঁজতে হবে।”
বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী বৈঠকে জানান, শিক্ষা খাতে বৈদেশিক সহায়তা বাড়ানোর জন্য ইতোমধ্যেই বিশ্বব্যাংক, ইউনিসেফসহ কয়েকটি দাতা সংস্থার সঙ্গে আলোচনা চলছে।
তিনি বলেন, “বিশ্বব্যাংক প্রধান শিক্ষকদের পদের জন্য বিশেষ অনুদানের বিষয়েও ভাবছে।”