রংপুরে শহীদ রেদওয়ানের মৃত্যুর স্বীকৃতি মিললো এক বছর পর!
তারাগঞ্জ প্রতিনিধি: রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের শহীদ রেদওয়ানের পরিবার অবশেষে মৃত্যুর দীর্ঘ এক বছর পর মৃত্যুর স্বীকৃতি পেল।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত রেদওয়ানের মৃত্যুর সনদ বা প্রত্যয়নপত্র এতদিনেও না পাওয়ার অভিযোগে পরিবারটি বছরের পর বছর ভুগছিল।
২০২৪ সালের ৪ আগস্ট রাজধানীর উত্তরা থানাধীন এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হন রেদওয়ান। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে, ৬ আগস্ট রাত ৯টা ৩০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।
পরদিন ৮ আগস্ট গ্রামের বাড়ি রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের বাটুপাড়া কাজীপাড়া গ্রামের গোপালপুর প্রামাণিকপাড়ায় তাকে দাফন করা হয়।
শহীদ রেদওয়ানের পিতা সাইদুল ইসলাম ও পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন,
“ছেলের মৃত্যু পরপরই আমরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে যাই, কিন্তু চেয়ারম্যান নানা অজুহাতে আমাদের ঘুরাতে থাকেন। বারবার ধর্ণা দিয়েও কোন সাড়া পাইনি। মৃত্যু সনদ না থাকায় সরকারি অনেক সুযোগ-সুবিধাও থেকে বঞ্চিত হয়েছি।”
পরিবারটি জানায়, একাধিকবার আবেদন ও অনুসন্ধানের পরেও চেয়ারম্যান প্রত্যয়নপত্র দেননি। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও ছাত্র সংগঠনের চাপে পড়ে অবশেষে ২০২৫ সালের ৯ জুলাই, এক বছরের মাথায় মৃত্যু প্রত্যয়নপত্র প্রদান করা হয়।
এ বিষয়ে সয়ার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ডা: আল ইবাদত হোসেন পাইলট বলেন,
“বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নিতে কিছুটা সময় লেগেছে এবং বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে দেরি হয়েছে। তবে এখন আমরা প্রত্যয়নপত্র প্রদান করেছি।”
রেদওয়ান ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন অগ্রসেনানী কর্মী। তার মৃত্যুতে সারা দেশে ছাত্র সমাজের মাঝে গভীর শোক ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল।