আরও ১৩০০ কর্মীকে ছাঁটাই করল ট্রাম্প প্রশাসন
টুইট ডেস্ক: মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের ১ হাজার ৩০০ এর বেশি গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাকে একযোগে চাকরিচ্যুত করছে ট্রাম্প প্রশাসন। যা ট্রাম্প প্রশাসনের একটি বড় ধরনের পুনর্গঠন পরিকল্পনার অংশ।
শুক্রবার (১১ জুলাই) থেকে এই ছাঁটাই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ফরেন সার্ভিস ও সিভিল সার্ভিস কর্মকর্তারা।
সংস্থাটির নোটিশ অনুযায়ী, ১ হাজার ৩৫৩ জন কর্মকর্তাকে ছাঁটাই করা হচ্ছে। যার মধ্যে ১ হাজার ১০৭ জন সিভিল সার্ভিস ও ২৪৬ জন ফরেন সার্ভিস অফিসার। আরও প্রায় ১ হাজার ৬০০ কর্মী স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন বলে জানানো হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট পদগুলো ‘বিলুপ্ত’ করা হয়েছে এবং কর্মীদের বিকেল ৫টার মধ্যে স্টেট ডিপার্টমেন্ট সদর দপ্তরে প্রবেশাধিকার ও ইমেইল এবং শেয়ারড ড্রাইভ ব্যবহারের সুযোগ বন্ধ করে দেওয়া হবে।
সমালোচকরা বলছেন, এই পদক্ষেপ আমেরিকার বৈশ্বিক নেতৃত্ব ও বিদেশে হুমকি মোকাবেলার প্রচেষ্টাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
আমেরিকান ফরেন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট থমাস ইয়াজগেরদি বলেন, এমন সময় এই ছাঁটাই চলছে যখন গাজা, ইউক্রেন, ইরানসহ নানা সংকটে দক্ষ কূটনীতিকের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
২০১১ সালে ইরাক ও আফগানিস্তানে দায়িত্ব পালন শেষে অবসর নেওয়া স্টেট ডিপার্টমেন্ট কর্মকর্তা অ্যান বোডিন বলেন, আমরা ইউনিফর্ম পরা সেনা সদস্যদের কথা বলি; কিন্তু পররাষ্ট্র সেবা কর্মকর্তারাও একটি শপথ নেন, যেমনটা সামরিক কর্মকর্তারা নেন। যারা ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ আদর্শে বিশ্বাস করেন এবং দেশের সেবা করেছেন, তাদের সঙ্গে এমন ব্যবহার করা ঠিক নয়।
এদিকে যখন ছাঁটাই হওয়া কর্মীরা নিজেদের জিনিসপত্র গুছিয়ে নিচ্ছিলেন, তখন প্রাক্তন সহকর্মী, রাষ্ট্রদূত, কংগ্রেসের সদস্য এবং অন্যান্যরা বাইরে প্রতিবাদ জানাতে জড়ো হন। ‘আমেরিকার কূটনীতিকদের ধন্যবাদ’ এবং ‘আমরা সবাই আরো ভালো কিছুর যোগ্য’ এমন লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে তারা উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়ায় দাঁড়িয়েছিলেন।
গত এপ্রিলে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এই পুনর্গঠন পরিকল্পনা অনুমোদন করেন। দফতরের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কাজের ধরন বিবেচনায় ছাঁটাই করা হয়েছে। তবে ছাঁটাই প্রক্রিয়ায় সরকারি অর্থ কত সাশ্রয় হবে, তা জানাতে পারেনি ট্রাম্প প্রশাসন।