ইলন মাস্কের সফলতার গল্প

বদিউল আলম লিংকন: ইলন মাস্ক একজন বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি উদ্যোক্তা, যিনি স্পেসএক্স, টেসলা, টুইটারসহ নানা সফল প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত। তার ব্যতিক্রমী উদ্যোগ ও দূরদর্শী চিন্তাধারা তাকে স্টিভ জবস, বিল গেটসদের সমতুল্য স্থানে তুলে এনেছে।

ইলন মাস্ক ১৯৭১ সালের ২৮ জুন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিটোরিয়াতে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা ছিলেন প্রকৌশলী, মা মডেল ও পুষ্টিবিদ। স্কুল জীবন কষ্টকর ছিলো, কিন্তু শিক্ষায় মেধাবী ছিলেন তিনি। কানাডার কুইন্স ইউনিভার্সিটি থেকে দুই বছর পড়াশোনা করে পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তর হন, যেখানে পদার্থবিজ্ঞান ও অর্থনীতিতে ডিগ্রি অর্জন করেন।

২৪ বছর বয়সে স্ট্যানফোর্ডে পিএইচডি করার জন্য ভর্তি হলেও মাত্র দুই দিন পর ইন্টারনেট বিপ্লবের সুযোগ কাজে লাগাতে এটি ছেড়ে দেন।

তার প্রথম ব্যবসায়িক সাফল্য আসে ১৯৯৫ সালে ভাই কিম্বল মাস্কের সঙ্গে শুরু করা ‘জিপ২’ সফটওয়্যার কোম্পানির মাধ্যমে। ১৯৯৯ সালে ৩০০ মিলিয়ন ডলারে এটি বিক্রি করার পর তিনি ‘এক্স.কম’ নামে অনলাইন ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন, যা পরবর্তীতে ‘পেপাল’-এ পরিণত হয়। ২০০২ সালে ‘পেপাল’ ইবে দ্বারা ক্রয় করা হয়।

টেসলা মোটরস প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ইলন বৈদ্যুতিক যানবাহন বিপ্লবের পথপ্রদর্শক হন। ২০০৮ সাল থেকে তিনি টেসলার সিইও হিসেবে কাজ করছেন এবং মডেল-৩ গ্লোবাল হিট হিসেবে পরিচিত।

স্পেসএক্স প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মহাকাশ গবেষণায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেন, নাসা ও মার্কিন বিমান বাহিনীর সঙ্গে বড় চুক্তি করেন। পুনঃব্যবহারযোগ্য রকেট তৈরিতে স্পেসএক্স বিশ্ববিখ্যাত।

২০০৬ সালে তিনি সোলারসিটি প্রতিষ্ঠার আর্থিক সহায়তা দেন, যা পরবর্তীতে টেসলার আওতায় আসে।

২০২২ সালে প্রায় ৪৪ বিলিয়ন ডলারে টুইটার কিনে বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নিয়ন্ত্রণ নেন।

এছাড়া ওপেনএআই, নিউরালিংক, বোরিং কোম্পানি সহ বিভিন্ন প্রযুক্তি উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত।

ইলন মাস্কের জীবন ও কর্ম উদ্যোক্তাদের জন্য অনুপ্রেরণা, যার মূলমন্ত্র কঠোর পরিশ্রম, ধৈর্য এবং লক্ষ্য অটুট রাখা।