হাসনাত আবদুল্লাহর হুঁশিয়ারি: “ফ্যাসিবাদ পুনর্বাসনের অপচেষ্টায় জবাবদিহি হবেই”

“ফ্যাসিবাদকে মিডিয়া সার্ভিস দিয়েছে”—বসুন্ধরা গ্রুপের বিরুদ্ধে তীব্র ভাষায় আক্রমণ হাসনাত আবদুল্লাহর

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় নাগরিক পার্টির শীর্ষ নেতা ও গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া এক শক্তিশালী বার্তায় কর্পোরেট মিডিয়া, বিশেষ করে কয়েকটি গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে সাংবাদিকতার নামে প্রোপাগান্ডা চালানো, ছাত্রদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার এবং গণতন্ত্রবিরোধী ভূমিকার অভিযোগ তুলেছেন।

হাসনাত আবদুল্লাহ লিখেছেন,

“হাসিনার শাসনামলে রাষ্ট্র যখন হয়ে উঠেছিল জনতার শত্রু, তখন বসুন্ধরা গ্রুপের কিছু মিডিয়া শুধু চুপ ছিল না, তারা সক্রিয়ভাবে হাসিনার তাবেদারি করেছে, ফ্যাসিবাদকে সার্ভিস দিয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, এই মিডিয়াগুলো ভিডিও এডিট করে বাস্তবতা পাল্টে দিয়েছে, প্রতিবাদী ছাত্রদের নামে কুৎসা রটিয়েছে, এমনকি “ভিন্নমতের কণ্ঠ রোধ করতেও” ভয়ংকর ভূমিকা পালন করেছে।

একই অপকৌশল এখনো চলছে

হাসনাত আবদুল্লাহর মতে, এই মিডিয়া হাউজগুলো আজও থেমে নেই। তারা একই স্ট্র্যাটেজি অনুসরণ করে জাতীয় নাগরিক পার্টি ও তাদের সদস্যদের বিরুদ্ধে নতুন করে অপপ্রচার চালাতে শুরু করেছে।

তাঁর ভাষায়,

“এটা সাংবাদিকতা নয়। এটা ডার্ক অপারেশন—মিথ্যা আর বিভ্রান্তি ছড়িয়ে জনগণকে ঠকানোর অপারেশন।”

গণতন্ত্র রক্ষায় স্পষ্ট অবস্থান

তিনি স্পষ্ট করে জানান, “আমরা মিডিয়ার স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। তবে সেই স্বাধীনতা মানে দায়িত্ব, সত্যের প্রতি দায়, জনগণের প্রতি জবাবদিহিতা।”

কর্পোরেট মিডিয়ার মাধ্যমে জনমত তৈরি করার নামে যখন ভুল ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তথ্য ছড়ানো হয়, তখন ক্ষতি হয় শুধু রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের নয়—ক্ষতি হয় গোটা গণতন্ত্রের, বলে মনে করেন তিনি।

ডকুমেন্টেশন ও জবাবদিহির ঘোষণা

“আমরা ডকুমেন্ট করছি। প্রতিটি মিথ্যা, প্রতিটি অপপ্রচার, প্রতিটি সাংবাদিকতার নামে অন্যায় আমরা সংরক্ষণ করছি।
যদি এই মিডিয়া হাউজগুলো সংবাদপত্র না হয়ে ফ্যাসিবাদ ফিরিয়ে আনার রাজনৈতিক অস্ত্র হয়ে থাকে, তাহলে তাদের জবাবদিহির মুখোমুখি হতেই হবে।”

চূড়ান্ত বার্তায় তিনি লিখেছেন,

আপনারা জনগণের ঊর্ধ্বে নন। আর সত্যের ঊর্ধ্বে তো ননই। জীবন থাকতে বাংলার মাটিতে ফ্যাসিবাদের কোনো ধরনের পুনর্বাসনই আমরা হতে দেব না।”

এই বক্তব্য সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি শুধু একটি ব্যক্তিগত ক্ষোভ নয়, বরং একটি বৃহৎ রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিরোধের ইঙ্গিত—যেখানে কর্পোরেট মিথ্যাচারকে রাজনৈতিক জবাবদিহিতে আনার দাবি উঠছে।