লালমাটিয়া-মোহাম্মদপুরে ওয়াসার পানিতে দুর্গন্ধ
রাজধানীর লালমাটিয়া-মোহাম্মদপুরে ওয়াসার পানিতে দুর্গন্ধ, পেটে ব্যথায় ভোগান্তি—ভোক্তাদের হতাশা বাড়ছে
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর লালমাটিয়া ও মোহাম্মদপুর এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে ওয়াসার সরবরাহকৃত পানিতে তীব্র দুর্গন্ধের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিশেষ করে লালমাটিয়ার জাকির হোসেন রোড এলাকাজুড়ে পানির গন্ধ এমন মাত্রায় পৌঁছেছে যে, অনেকে তা ব্যবহার তো দূরের কথা, মুখের কাছে নিতেই পারছেন না।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত কয়েক দিন ধরে পানিতে পঁচা ড্রেন বা নর্দমার মতো গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। কেউ কেউ জানান, এই পানি ব্যবহার করার পর পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব এমনকি পাতলা পায়খানাও শুরু হয়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা শারীরিকভাবে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছেন।
এক বাসিন্দা জানান,
“পানিতে এমন গন্ধ যে গা গুলিয়ে আসে। একদিন ভুল করে খেয়ে ফেলেছিলাম, তারপর থেকেই পেটে ব্যথা শুরু হয়েছে। ওয়াসায় কল করেছি, কেউ আসেনি, কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।”
আরেকজন বলেন,
“জাকির হোসেন রোডে প্রায় প্রতিটি ফ্ল্যাটেই একই অবস্থা। শিশুদের জন্য খুব চিন্তায় আছি। ওয়াসার সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করেও কাজ হচ্ছে না।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, এই সংকট নতুন নয়। বর্ষার মৌসুম এলেই ওয়াসার পানিতে সমস্যা বেড়ে যায়। কোথাও পাইপ লাইনে লিক থাকলে ড্রেনের পানি বা ময়লা সেই লাইনে ঢুকে পড়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। অথচ বিষয়টি সম্পর্কে বারবার জানানো হলেও কর্তৃপক্ষ নিরব ভূমিকা পালন করছে।
ভুক্তভোগীরা দ্রুত পানি পরীক্ষা, পরিশোধন ও জরুরি সমাধানের দাবি জানিয়েছেন। তাদের মতে, এটি এখন শুধু নাগরিক সমস্যা নয়, একটি মানবিক এবং জনস্বাস্থ্যগত জরুরি বিষয়।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
এই পানি যেন কেউ ফুটানো ছাড়া না খায় এবং বাসার পানির লাইনের মুখে ফিল্টার লাগায়। পাশাপাশি কর্তৃপক্ষের উচিত ভোক্তাদের সুরক্ষায় নিয়মিত পরীক্ষা ও নজরদারি চালানো।
TweetNews24.com-এর পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্টদের কাছে দাবি-
১. অবিলম্বে ভুক্তভোগী এলাকায় পানির মান পরীক্ষা।
২. প্রয়োজনে বিকল্প পানির সরবরাহ নিশ্চিত করা।
৩. দায়ীদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ।
এটি শুধু একটি নাগরিক সমস্যা নয়—মানবিক বিষয়। এখনই ব্যবস্থা না নিলে বড় বিপর্যয় ঘটতে পারে।