ময়মনসিংহে সেপটিক ট্যাংকে নারীর লাশ, প্রেমের ফাঁদে হত্যার অভিযোগ

পিবিআই তদন্তে তারাকান্দায় সেপটিক ট্যাংকে অজ্ঞাত নারীর লাশের পরিচয় শনাক্ত, আলামত উদ্ধার ও একজন গ্রেফতার

ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার দাদরা গ্রামে একটি পরিত্যক্ত বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত নারীর লাশের পরিচয় নিশ্চিত করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ওই নারীর নাম সুফিয়া খাতুন (৩৪), পিতা কেরামত আলী, গ্রাম পাতিলগাঁও, থানা ফুলপুর।

গত ৩ জুলাই সকালে লাশটি গলিত অবস্থায় পাওয়া যায়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ, র‍্যাব, সিআইডি এবং পিবিআই ঘটনাস্থলে যায় এবং পিবিআই ছায়া তদন্ত শুরু করে। মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করে এবং মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পিবিআই।

পিবিআই-এর পুলিশ সুপার মোঃ রকিবুল আখতার জানান, ৫ জুলাই রাত ৩:৩০টায় ফুলপুর থানার বেপারীপাড়া এলাকা থেকে রোহান মিয়া (২৫), পিতা আলাল মিয়া, দাদরা গ্রাম, তারাকান্দা—নিবাসীকে গ্রেফতার করা হয়। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী নিহতের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

তদন্তে জানা গেছে, আসামি রোহান এক বন্ধুর কাছ থেকে সুফিয়ার মোবাইল নম্বর নিয়ে প্রেমের অভিনয় শুরু করে। গত ২৯ জুন ছাগল বিক্রি করতে তারাকান্দা বাজারে আসা সুফিয়াকে রোহান দেখা করে বিভিন্ন স্থানে ঘোরাতে থাকে এবং রাতে এক নির্জন বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে শারীরিক সম্পর্কের পর কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সুফিয়া তাকে চড় মারলে রোহান ক্ষিপ্ত হয়ে ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে পাশের সেপটিক ট্যাংকে লাশ ফেলে দেয় এবং তার মোবাইল ও ৪ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।

সুফিয়ার ভাই ইলিয়াস ২৯ জুন সন্ধ্যায় নিখোঁজের বিষয়টি উল্লেখ করে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। তার ভিত্তিতেই তদন্তে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

পিবিআই জানিয়েছে, গ্রেফতার রোহান মিয়ার বিরুদ্ধে পূর্বেও হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং এ ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত ছিল কিনা তা নিয়ে তদন্ত চলছে।